প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কোনো ইঞ্জিনিয়ার বা কোনো বড় কর্পোরেট সংস্থার মালিক নন, স্রেফ অটো চালক! আর মাস গেলে নাকি মেলে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা! না না, গুজব নয়, আসলে এটাই সত্যি। কালো হলুদ অটোটি নিয়ে রোজ মুম্বই (Mumbai) রাস্তায় বের করলেও অটোর চাকা এক মিটারও চলে না সারা দিনে। তা সত্ত্বেও নাকি মাসে এত টাকা রোজগার করেন অটোচালক। কিন্তু কীভাবে? চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ঘটনাটি কী?
সম্প্রতি লেন্সকার্টের পোডাক্ট লিডার রাহুল রূপানি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক চমকপ্রদক পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন ভিসার জন্য তিনি ইউএস কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি এক অটো চালককে দেখেন। অবাক করা বিষয় হল এই অটো চালক নাকি মাসে ৫-৮ লাখ টাকা আয় করছেন। এদিকে তিনি কোনো ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নন, তাহলে কীভাবে তা সম্ভব? আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল রূপানি সেই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিলেন।
ব্যাগ রাখা নিয়ে মুশকিলে পড়েছিলেন রাহুল!
এদিন রাহুল লিখেছেন, ওই অটো চালক প্রতিদিন অটো নিয়ে হাজির হন মার্কিন দপ্তরের সামনে। আর সেখানে আসা নাগরিকদের ব্যাগ তাঁর অটোতে রেখে বিপুল অর্থ আয় করেন। এবার প্রশ্ন হল একথা লেন্সকার্টের পোডাক্ট লিডার রাহুল রূপানি জানলেন কী করে? সেটাও তিনি তাঁর পোস্টে খোলসা করে বললেন। তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন ভিসার জন্য কনস্যুলেটে গিয়েছিলাম। আমার কাছে একটি ব্যাগ ছিল। সেটি নিয়ে প্রবেশ করতেই আমাকে বলা হল ব্যাগ নিয়ে ভিতরে যাওয়া যাবে না। এদিকে সেখানে কোনও লকার নেই। অগত্যা বাইরে বেরিয়ে ভাবছিলাম কী করব?”
অটো চালকের বুদ্ধি দেখে অবাক সকলে
এরপরই সেই সময় নাকি ওই অটোচালক এসে প্রস্তাব দেন ব্যাগটি তিনি সুরক্ষিত রাখবেন। তার পরিবর্তে হাজার টাকা নেবেন। খানিকক্ষণ ভাবার পর অবশেষে ব্যাগটি সেখানেই রাখেন রাহুল রূপানি। তারপরই এই বুদ্ধিমান ব্যবসায়ি অটো চালকের তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বুদ্ধির পরিচয় পায়। আর তখনই রূপানি অটো চালকের মাসিক আয়ের হিসাব করেন। তিনি বলেন, সাধারণ দিনে ২০ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি ওই দপ্তরে আসেন। এবং তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন ওই চালক। সেই হিসাবে দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন ওই ব্যক্তি। অর্থাৎ মাসে প্রায় পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রেন দেরিতে আসায় হাতছাড়া বিমান! আদালতের নির্দেশে সুদ সহ মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রেল
কিন্তু যেহেতু অতগুলি ব্যাগ এক সঙ্গে রাখা যেহেতু সম্পূর্ণ বেআইনি তাই সেক্ষেত্রে অটো চালক এক পুলিশের সাহায্য নিয়েছেন। যাঁর কাছে লকার রয়েছে। সেখানে কিছু ব্যাগ রাখা হয়। এইভাবে পুলিশ এবং অটো চালকের মধ্যে যৌথভাবে ব্যবসা চালু করা হয়। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে উপার্জনের কাহিনিটি সম্প্রতি বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |