ট্রাম্পের মুখে ছাই! ভারতে Apple-র প্রোডাক্ট তৈরিতে কোনও খামতি হবে না, জানাল সংস্থা

Published:

apple in india
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিনের পর দিন একের পর এক বহুজাতিক সংস্থা যেন ড্রাগনের দেশ থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আর এবার অ্যাপলও সেই রাস্তায় হাঁটল। ভারতের প্রতি তাদের আস্থা কতটা, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। কারণ আমেরিকার বাজারের জন্য তৈরি iPhone-এর বৃহৎ অংশ এবার ভারতেই তৈরি হতে চলেছে।

ভারতের দিকেই অ্যাপলের নজর

এক সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতে অ্যাপলের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় সেরকম কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং, এই কোম্পানির মূল লক্ষ্য আমেরিকান বাজারের জন্য আইফোনের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ভারতের মাটিতে গড়ে তোলা।

আর এই মুহূর্তে অ্যাপলের অধিকাংশ iPhone তৈরি হচ্ছে চিনে। তবে হিসাব বলছে, প্রতি বছর প্রায় 4 কোটির মত iPhone ভারতেও তৈরি হচ্ছে, যা অ্যাপলের মোট উৎপাদনের প্রায় 15 শতাংশ।

তাহলে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল?

এক অভ্যন্তরীণ সূত্র মারফত খবর, আমেরিকায় iPhone তৈরির উৎপাদন খরচ সবথেকে বেশি, যেখানে ফোন তৈরি করা কার্যত ব্যয়বাহুল হয়ে দাঁড়ায়। তাই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে এই জায়গায় বদলানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর ভারত অ্যাপল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের জন্য তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা খুব একটা বদলায়নি। আর ভারতকেই তারা ভবিষ্যতে অ্যাপলের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব (Apple’s Hub) হিসাবেই দেখতে চায়।

বর্তমানে কোথায় তৈরি হচ্ছে iPhone?

বর্তমানে ভারতের মাটিতে iPhone তৈরি করছে ফক্সকনের তামিলনাড়ু কারখানা। তবে শুধু এখানেই থেমে নেই অ্যাপল। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স, যারা কর্ণাটকে পেগাট্রনের অপারেশন চালায়, তারাও এবার iPhone উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। 

আরও পড়ুনঃ ঝাঁ চকচকে থেকে অত্যাধুনিক সুবিধা, তৈরি হল বাংলার প্রথম অমৃত ভারত স্টেশন, কবে উদ্বোধন?

এমনকি টাটা ও ফক্সকন উভয়ই নতুন নতুন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে। এছাড়া পুরনো ইউনিটে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানো হচ্ছে, যাতে ভারতে তৈরি iPhone ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক পৌঁছাতে পারে আন্তর্জাতিক বাজারে। 

আর এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র অ্যাপলের জন্য নয়, বরং ভারতের ইলেকট্রনিক্স শিল্পের জন্যও বিরাট সাফল্যের ইঙ্গিত। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, এরকম বিশ্বমানের প্রযুক্তি সংস্থার আস্থা পাওয়ার ফলে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের জায়গা আরও পাকাপোক্ত করতে পারবে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join