কলকাতাঃ চাকরি বাকরি করার পর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে অনেকেই অনেক কাজ করেন। কেউ ব্যাঙ্কে টাকা জমান, তো কেউ আবার বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করেন ভালো টাকার আশায়। তবে আপনিও কি এমন এক জায়গায় বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন যেখানে একবার টাকা দিলে একদম টেনশন মুক্ত হয়ে থাকা যাবে? আপনিও কি অবসর নেবেন বলে ভাবছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
বিনিয়োগ করুন এই প্রকল্পে
আজ যে প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে সেটির নাম হল কর্মচারী পেনশন স্কিম (EPS)। এর অধীনে, সংগঠিত ক্ষেত্রের প্রত্যেক কর্মচারীকে EPFO দ্বারা পেনশন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছিল। এর উদ্দেশ্য হ’ল সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা দেওয়া। এই EPS স্কিমে একবার বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে টাকা পয়সা নিয়ে একদমই চিন্তা করতে হবে না কর্মীদের। ইপিএফও এর আওতায় থাকা কর্মীরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৮ বছর পর নিয়মিত পেনশন পেতে থাকবেন।
মানতে হবে কিছু শর্ত
যদিও এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কর্মীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। পেনশনের আওতায় আসতে হলে অন্তত দশ বছরের চাকরি জীবন হতেই হবে কর্মীদের। ইপিএস স্কিমটি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। এর আওতায় ৫৮ বছর বয়সের পর কর্মচারীকে পেনশন প্রদান করা হয়ে থাকে। এই পেনশন পেতে হলে কর্মচারীকে বেতনের ১২ শতাংশ ইপিএফে জমা দিতে হয়, যার মধ্যে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ যায় ইপিএসে।
মাসে মাসে মোটা অঙ্কের পেনশন পাবেন
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই প্রকল্পের সুবিধা কী কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই ইপিএস হল ভারত সরকারের একটি জনদরদী প্রকল্প। এতে রিটার্ন নিশ্চিত করা হয়। যেসব কর্মচারীর বেতন ও ডিএ ১৫ হাজার টাকা বা তার কম তাঁরা এতে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। ৫০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর ইপিএস থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সুবিধাভোগীর মৃত্যুর পরে, ইপিএফে পেনশন স্ত্রী এবং তারপরে সন্তানদের দেওয়া হয়। এতে যে কোনও ব্যক্তি ন্যূনতম মাসিক ১০০০ টাকা পেনশন পান।