প্রীতি পোদ্দার: গতকাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় লখনউ এর বাহরাইচ জেলার মহসি তহসিলের মহারাজগঞ্জ শহরে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বেশ জন সমাগম হয়েছিল। কিন্তু সেই বিসর্জনেই এবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ডিজের সময় ডিজে বাজানো নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এবং গানের প্রতিবাদে অন্য সম্প্রদায়ের যুবকরা এসে মারামারি পর্যন্ত শুরু করে দেয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার ছাদ থেকে গালিগালাজ করা থেকে শুরু করে ঢিলও পর্যন্ত ছুড়েছে বিসর্জনের উদ্দেশে যাওয়া যাত্রীদের।
বাড়ির ভিতরে ঢুকে গুলি দুষ্কৃতীদের!
আর এই ধস্তাধস্তি এবং পাথর ছোঁড়ার ফলে, মা দুর্গার মূর্তি ভেঙে যায়। আর তাতেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর আকার ধারণ করে যে বিক্ষোভ চলাকালীন অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা রেহুয়া মনসুরের বাসিন্দা রামগোপাল মিশ্রর বাড়ির ভিতরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। মারা যান তিনি। এদিকে তাকে বাঁচাতে গেলে রাজনও গুরুতর আহত হন। আর অনেকেই আহত হয় গোটা ঘটনায়। এলাকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উপস্থিত হয় ছয় থানার পুলিশ ও পিএসি। পাশাপাশি উপস্থিত হন এসপি বৃন্দা শুক্লাসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের বড় অভিযোগ!
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুবই শান্তিপূর্ণ ভাবে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহারাজগঞ্জ শহরে পৌঁছানো মাত্রই আব্দুল হামিদ তার ছেলে সাবলু, সরফরাজ ও ফাহিমসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গালিগালাজ শুরু করে দেয়। এর পর লোকজন বিসর্জন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় হামিদ ও তার সঙ্গে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর মেডিক্যাল কলেজে রাম গোপালের মৃত্যুর পর মেডিক্যাল কলেজেও বিক্ষোভ ও স্লোগান ওঠে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা লাশ নিয়ে মেডিকেল কলেজের বাইরে পৌঁছায় এবং লাশ সড়কে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। শুধু তাই নয়, মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়া মূর্তিগুলোও বন্ধ করে বিক্ষোভ জারি থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |