প্রীতি পোদ্দার, কলকাতাঃ গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পড়ুয়াদের কোটা বাতিলের দাবিতে যে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাতে বাধ্য হয়ে সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। আর এই ভারতে আশা নিয়ে গত দুই মাসে খবরের শিরোনামে নানা আলোচনা-সমালোচনা উঠে আসে।
বাংলাদেশের সরকার সহ অনেকেই নিশ্চিত করেছিল যে শেখ হাসিনা ভারতেই আছেন। যদিও ভারত সরকার শেখ হাসিনার অবস্থানকাল নিয়ে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি। এদিকে ভারত ছেড়ে শেখ হাসিনার সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়েও উঠে এসেছে নানা সম্ভাবনা। তালিকায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফিনল্যান্ডের নাম। আর এই আবহেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল নিজের দেশ।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
কার্যত ক্ষমতা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশছাড়া হতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তার উপর দুর্যোগের মেঘ কাটতে না কাটতেই এবার আরও বিপাকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের একটি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের হত্যা মামলায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনালের মুখ্য কৌঁসুলি মহম্মদ তাজুল ইসলাম হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথা জানিয়েছেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে কী বললেন মহম্মদ তাজুল?
তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে তাঁকে আদালতে হাজির করতে হবে।” গণহত্যা মামলায় আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে তাজুল জানিয়েছেন, ‘অপরাধীদের অনেকে এখনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তাই অনেকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। কিন্তু যদি প্রভাবশালীদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে তদন্ত পরিচালনা করা কঠিন হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |