বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে আদানির বকেয়া মেটাতে শুরু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সম্প্রতি সেই খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংস্থা আদানি পাওয়ারের এক শীর্ষ আধিকারিক। গৌতম সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কাছে যে বিদ্যুৎ বকেয়া জমা ছিল তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করছে ওপার বাংলার সরকার।
তবে এখনও 900 মিলিয়ন ডলারের মতো ধার শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। আদানির ওই আধিকারিক আশা করছেন যে, বাংলাদেশ সেই বকেয়া অর্থ পুরোটাই মিটিয়ে দেবে। সেই সাথেই, আদানি পাওয়ারের তরফে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বহাল রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কথা রেখেছে বাংলাদেশ
বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভারতীয় সংস্থা আদানি পাওয়ারের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার দিলীপ ঝা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, আমরা বর্তমানে বাংলাদেশে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। প্রতিমাসে বিদ্যুতের বিল বাবদ যে অর্থ জমা হচ্ছে তার থেকে বেশি টাকা পাচ্ছি। এর অর্থ বাংলাদেশ পুরনো বকেয়া ধীরে ধীরে মেটাচ্ছে। যার ফলে আদানির কাছে জমে থাকা ঋণ ক্রমশ কমছে ওপার বাংলার।
প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি পাওয়ারের ওই আধিকারিক আশা করছেন, বাংলাদেশ নিজের কথা রেখেছে। তাই আগামী দিনে দ্রুত বিদ্যুৎ বকেয়া কমে আসবে। বাংলাদেশের সরকার কথামতো সেই বিদ্যুৎ বকেয়া পরিশোধ করে দেবে বলেই আশা রাখছেন ওই শীর্ষ আধিকারিক।
অবশ্যই পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের নজরে তুখড় মিডফিল্ডার, লড়াইয়ে বেঙ্গালুরুও! কোন দলে যাবেন তারকা?
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে আদানির বকেয়া মেটানোর যে কথা দেওয়া হয়েছিল, তা রেখেছে ওপার বাংলার সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশকে বিদ্যুতের বিল বাবদ যে 2 বিলিয়ন ডলার মেটাতে হতো তার বেশিরভাগটাই অর্থাৎ 1.2 বিলিয়ন ডলার অর্থ মিটিয়ে দিয়েছে ইউনূসের সরকার। যে অঙ্কটা কিন্তু একেবারেই কম নয়। আর সেই সূত্র ধরেই, আদানি পাওয়ার আশা করছে যে আগামী দিনেও বাংলাদেশের কাছ থেকে বাকি বকেয়া অর্থ তুলতে পারবে তারা।