শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় যাচ্ছে ততই নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh) মধ্যে কার সম্পর্ক একেবারে খারাপের দিকেই এগোচ্ছে। বিভিন্ন মানুষ ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন যে বাংলাদেশে হিন্দুরা চরম বিপদের মুখে রয়েছেন। তবে এসবের মাঝেই আরো এক ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এলো যা শুনলে আপনি হয়তো চমকে উঠতে পারেন। এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠল হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বাংলাদেশের তো এরকম পদক্ষেপের পর ভারতও রীতিমতো ময়দানে নেমে গেছে বলে খবর। ভারতের তরফের তোলা অভিযোগ অনুযায়ী বাংলাদেশের তরফে যে ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি তুরস্ক তৈরি করা। একাধিক রিপোর্টে অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের কাছে ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। চলতি বছরেই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওপার বাংলা। মৃত্যু হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষের। এদিকে এহেন ঘটনার পর সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে গেছে বলে খবর। যদিও এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারতের ওপর ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ?
সূত্রের খবর, ভারত সীমান্তের কাছে বায়ো রাকটর TB 2 UAV মোতায়েনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে সেনা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে সেগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ড্রোন মোতায়েন নিয়েও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারত। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে, হাসিনা সরকারের আমলে দুর্বল হয়ে পড়া উগ্রবাদীরা ভারত সীমান্তের কাছে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও চোরাচালান চক্র ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
এক আধিকারিক বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় ভারতবিরোধী উপাদান বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং উন্নত ইউএভি মোতায়েনের কারণে ভারতের সীমান্তে কঠোর নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।