- প্রীতি পোদ্দার, আগরতলা: আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বকেয়া বিদ্যুৎ এর বিল নিয়ে এখনও ঝঞ্ঝাট কাটেনি বাংলাদেশের (Bangladesh)। বিদ্যুতের বিল নিয়ে টানাপোড়েন এখনও লেগে আছে। আর এই আবহে কেনা বিদ্যুতের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনল বাংলাদেশ। বলা হয়েছে, শীতকালে বিদ্যুতের ততটা চাহিদা নেই। তাই আগের তুলনায় আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্ধেক বিদ্যুৎ কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার। এদিকে এক ঝামেলা কাটতে না কাটতেই আরও এক ঝামেলার মুখোমুখি বাংলাদেশ। শুধু আদানি গোষ্ঠী নয়, বিদ্যুতের জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছেও দেনা রয়েছে বাংলাদেশের৷
বকেয়া টাকা নিতে কী বললেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী?
ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড অর্থাৎ TSECL প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বাংলাদেশকে। এর ফলে রাজ্যের বাসিন্দাদের দৈনিক চাহিদা মিটছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে। এদিকে, বাংলাদেশের কাছে বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১ কোটি। এই বকেয়া টাকা মেটানোর বিষয়টি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগমকে জানানো হয়েছে। এবং বাংলাদেশকে বকেয়া টাকা অবিলম্বে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হল এনভিভিএন। তারাই ত্রিপুরার পাওয়ার প্রোজেক্ট থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি দেখে এবং অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু ক্রমেই সেই বকেয়া টাকা বেড়েই চলেছে। এদিকে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, এত বিপুল টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও, টিএসইসিএল প্রতিবেশী দেশটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বন্ধ করেনি।
আরও দু’বার এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ
২০১৬ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরার মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে। মাঝেমধ্যে তা বাড়িয়ে ১৬০ মেগাওয়াটও করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে টিএসইসিএলের এক আধিকারিক জানান, ২০১৬ সালে প্রথম চুক্তির পর আমরা আরও দু’বার এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছি বাংলাদেশেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি অব্যাহত রাখার জন্য। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ১০০ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল TSECL৷ সরকারি আধারিক সূত্রে খবর, গত এক বছর ধরে সময়মতো বিদ্যুতের টাকা দিতে পারেননি বাংলাদেশ। ফলে বকেয়ার পরিমাণও বাড়তে থাকে৷ এমনকি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী৷