প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অফিস হোক বা যেকোনো জায়গা রাস্তায় বেরোলেই দরকার পড়ে বাসের। এদিকে যত দিন যাচ্ছে ব্যস্ত শহরে বাসের আকাল যেন আরও বাড়ছে। প্রতিদিন একই চিত্র দেখা যায় পরিবহন ব্যবস্থায়। ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় বাসের। যার ফলে যেকোনো জায়গায় যেতে গেলে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। এরফলে বেশ ক্ষুব্ধ জনসাধারণ। তবে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে দূর করতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চালু করা হতে চলেছে ইলেকট্রিক বাস বা ই-বাস।
ইলেকট্রিক বাস চালু করতে চলেছে সরকার!
এমনিতেও রাস্তাঘাটে বা শহর কলকাতায় রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ইলেকট্রিক বাস বা ই-বাস। এই বাস একদিক থেকে বলা যায় পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ এই বাসগুলি পরিবেশে দূষণ ঘটায় না। তবে সমস্যা একটাই। এই বাসগুলির সংখ্যা নেহাতই কম। তাইতো এই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে ভারত আরবান মেগাবাস মিশন। যার মাধ্যমে শহরে এবার সরকার ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বাস চালু করার পরিকল্পনা নিতে চলেছে। এই উদ্যোগে দেশের মোট ৬৫টি শহরের নাম উঠে এসেছে।
মিশনের জন্য খরচ হবে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা
জানা গিয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যে শহরগুলিতে বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষের বেশি, সেখানে নতুন ইলেকট্রিক বাস চালু করা হবে। শুধু তাই নয়, এর জন্য নতুন বাস ডিপো, টার্মিনাস ও বাস স্টপও তৈরি করা হবে। এছাড়াও ৫০০০ কিলোমিটার সাইকেল-বান্ধব রাস্তাও তৈরি করা হবে। তাই সব মিলিয়ে হিসেব করে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক প্রায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে।
আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মিশনের জন্য টার্গেট করা হয়েছে আগামী ৫ বছর। এই লক্ষ্য নিয়ে কেন্দ্র চাইছে দেশের গণপরিবহনকে পছন্দের পরিবহনের মাধ্যম হিসাবে গড়ে তোলা এবং সাইকেল চালানোকে উৎসাহিত করা। এছাড়াও এই মিশনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য হল – বায়ু দূষণ কমানো, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। এবার দেখার পালা ২০৩০ সালের মধ্যে এই মিশনটি কতটা সাফল্য নিয়ে আসতে চলেছে।