অনেকটাই তৈরি হয়েছে রাস্তা, খুব শীঘ্রই কলকাতা থেকে সড়কপথে যাওয়া যাবে ব্যাংকক-মিয়ানমার

Published on:

kolkata bangkok highway

কলকাতাঃ এবার কলকাতা থেকে সরাসরি ব্যাংকক এবং ব্যাংকক থেকে কলকাতা আসা যাবে, তাও কিনা সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় রেল থেকে শুরু করে সড়ক ব্যবস্থায় নিত্য নতুন বিপ্লব আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন সে রেল ব্যবস্থা হোক কিংবা সড়ক ব্যবস্থা, সাধারণ মানুষের নিত্য যাত্রা আরও যেন মাখনের মতো সহজ হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে মানুষ যেখানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যেত এখন তা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে। এবার তেমনই আরও একটা বৈপ্লবিক কাজ করতে চলেছে ভারত সরকার যে সম্পর্কে হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।

সড়কপথে ব্যাংকক-কলকাতা-ব্যাংকক!

শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিমানের পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমেও মানুষ অনায়াসেই কলকাতা-ব্যাংকক যেতে পারেন। এর পাশাপাশি মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মতো জায়গাতেও ঘুরে আসতে পারবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কলকাতা-ব্যাংকক মহাসড়ক, যা ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক নামেও পরিচিত, তৈরি হয়ে যাবে এবং মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। মহাসড়কটি ভারতের কলকাতা থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পর্যন্ত সেইসঙ্গে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে যাবে, যা উন্নত বাণিজ্য সংযোগ এবং আঞ্চলিক সংহতকরণের সুযোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাজ অনেকটা এগিয়েছে

শোনা যাচ্ছে, মহাসড়কের ভারত ও থাইল্যান্ড অংশের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তিন দেশের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠছে ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড। ১,৩৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক তিন দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। ভারত, ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কের দুটি অংশ মায়ানমারে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২০.৭৪ কিলোমিটার কালেওয়া-ইয়াগি সড়ক বিভাগ নির্মাণ এবং ১৪৯.৭০ কিলোমিটার তামু-কিগন-কালেওয়া (টিকেকে) সড়ক বিভাগে অ্যাপ্রোচ রোড বরাবর ৬৯টি সেতু নির্মাণ।

আরও পড়ুনঃ ৮০ কিমি মাইলেজ, দাম ৬০ হাজারের মধ্যেই! মধ্যবিত্তদের জন্য রইল ৩ টি সস্তার বাইক

বিমসটেকভুক্ত দেশগুলি যেমন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে দু’দিনের শিল্প দিবস সম্মেলন কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। একই সম্মেলনে অংশ নেওয়া মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই সড়ক প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহাসড়কের ভারত ও থাইল্যান্ড অংশের বেশিরভাগ কাজ শেষ হলেও মিয়ানমারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে নির্মাণ কাজ স্থগিত রয়েছে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X