সহেলি মিত্র, কলকাতা- একেই হয়তো বলে বদলা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মাঝেই বিরাট অ্যাকশন নিল বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশের সময় এক পাক রেঞ্জারকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন বিএসএফ জওয়ানরা। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর জেলা। বলা হচ্ছে যে এখানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা একজন পাকিস্তানি রেঞ্জারকে ধরে ফেলেছে। সূত্রের খবর, রেঞ্জারটি ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন যখন জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে। তার অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য জানতে বিএসএফ এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাক রেঞ্জারকে আটক করল BSF
গত এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর বিএসএফ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সমস্ত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায়, বিএসএফ একটি বড় সাফল্য পেয়েছে। জানা যায়, পাকিস্তানি রেঞ্জারকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বিএসএফ জওয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নেয় এবং তাকে ধরে ফেলে। ওই পাক রেঞ্জার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানি রেঞ্জারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে, পাকিস্তানি রেঞ্জার কেন ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে চেয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএসএফ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে পহেলগাঁও হামলার ঠিক একদিন পরেই বাংলার বাসিন্দা এক BSF জওয়ানকে আটক করেছিল পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা। জানা গিয়েছিল যে, বাংলার জওয়ান পুর্ণম সাউ ভুল করে LoC পার করে ফেলে। এরপর তাঁকে আটক করে পাকিস্তান। ভারতের তরফ থেকে একাধিকবার এই নিয়ে মিটিং করলেও পাকিস্তান সেই BSF জওয়ানকে এখনও ছাড়েনি। আর এর মধ্যেই এক পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে BSF। এখন অনেকেই আশা করছেন যে, আটক করা পাক রেঞ্জারের বদলে পুর্ণম সাউকে ছাড়তে পারে পাকিস্তান।
সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি
সীমান্ত অতিক্রম করার পেছনে তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা তারা জানার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পহেলগাম হামলার পর, বিএসএফের ডিআইজি যোগেন্দ্র সিং রাঠোর একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন। যোগেন্দ্র রাঠোড় বলেন, ‘পহেলগামের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, ভারত সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ অঢেল সম্পত্তি, একাধিক ব্যবসা! কত টাকার মালিক পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির?
সীমান্তের কথা বলতে গেলে, ‘সীমান্ত রক্ষা করা বিএসএফের প্রথম দায়িত্ব… সীমান্ত রক্ষায় যেকোনো ধরণের শিথিলতা সহ্য করা হবে না, প্রতিটি কোণে আমাদের নজর রয়েছে, আমাদের বিএসএফ জওয়ান থেকে শুরু করে সেনারা যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। আমরা আমাদের সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে আছি… আমরা বছরের ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘন্টা সর্বদা সতর্ক থাকি… বিএসএফ থাকতে কেউ সীমান্তে কোনও অপ্রীতিকর কার্যকলাপ করতে পারবে না।’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |