পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ হাতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি তারপরেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক ২০২৫। মাধ্যমিক শেষ হলেই শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক। জীবনের প্রথম ও দ্বিতীয় বড় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল বড় খবর, পরীক্ষার হলে বোরখা পড়া ব্যান করা হোক, এমনটাই আবেদন করা হল রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু হঠাত কেন এই প্রস্তাব?
পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ বোরখা
যেমনটা জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী দাদা ভুসে বলেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা কোনো ছাত্রীকে বোরখা পরা অবস্থায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়। মূলত পরীক্ষা চলাকালীন সময় নকল করা বা চিটিং আটকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
Maharashtra Minister Nitesh Rane writes to Education Minister Dada Bhuse requesting that no one should be allowed to enter the 10th and 12th state board examination centres wearing burqa, citing concerns about potential cheating. pic.twitter.com/LkH4RRNxU0
— ANI (@ANI) January 29, 2025
কারণ জানালেন মন্ত্রী
‘বোরখা’ পরে পরীক্ষা দেওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব সামনে আসতেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার উত্তরে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতিশ রানে জানাচ্ছেন, ‘আমাদের সরকার তুষ্টির রাজনীতি বরদাস্ত করবে না। হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের জন্য যে নিয়ম লাগু রয়েছে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্যও একই নিয়ম জারি হওয়া উচিত। যারা বোরখা বা হিজাব পড়েন তারা বাড়িতে পরে থাকতেই পারেন, কিন্তু পরীক্ষার হলে নয়। পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাকি পরীক্ষার্থীদের মত হয়েই পরীক্ষা দিতে হবে’।
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘এমন অনেক ঘটনা দেখা গিয়েছে যেখানে বোরখা পরে নকল করতে দেখা গিয়েছে ছাত্রীদের। এই ধরণের ঘটনা যাতে মহারাষ্ট্রে আর না হয় তার জন্য ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে চিঠিও লেখা হয়েছে’। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী দিনে বোর্ড সমস্ত কিছু বিচার করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মাকে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বান করা হয়েছিল। যার ফলে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। মুসলিমদের প্রতিবাদ জোরালো হলে হিন্দুরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেরুয়া স্কার্ফ পরে যাওয়র দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করে। শেষমেশ কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে এই ব্যান বহাল রাখা হয়। যদিও পরবর্তীকালে কংগ্রেস সরকার এই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেয়।