কলকাতাঃ কয়েকদিন আগেই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে যে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার হিসেবে করা এই সময়ে যথেষ্ট কঠিন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে, নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন হয়েছে। হয়তো মনে হচ্ছিল এবার সবকিছু ঠিকঠাক চলবে, কিন্তু সে গুড়ে বালি। এবার দুই দেশের সীমান্তে অবৈধ কিছু গতিবিধি নজরে এল গোয়েন্দাদের। দুই দেশে এই সীমান্তের মাধ্যমে ইলিশ তো আবার কখনও গরু দেদার পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
দুই দেশে পাচার হচ্ছে ইলিশ-গরু
কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে বহু ভারতীয় তো আবার ভারতে বহু বাংলাদেশী আটকে রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার জন্য নাকি প্রতিদিনই সীমান্তে এসে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। তবে অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে হাই অ্যালার্ট মোডে রয়েছে BSF এবং BGB। মেডিক্যাল ভিসা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। তবে এসবের মাঝেই নাকি কিছু অসাধু চক্র তৈরি হয়েছে যারা কিনা অবৈধভাবে ভারতে ঢুকতে চাইছে বলে দাবি করেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি indiahood.in।
হাই অ্যালার্ট মোডে BSF-BGB
বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মতো বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শুধু মানবপাচার রোধেই নয়, গরু ও ইলিশ মাছ পাচার রোধেও নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী বাংলাদেশে গরু চোরাচালানের ওপর নজর রাখছে এবং সব বাহিনীকে ২৪ ঘণ্টা টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের জনপ্রিয় মাছ ইলিশ অবৈধভাবে চোরাচালান ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। অস্ত্রশস্ত্র এবং গরু পাচারে জড়িত বলে দাবি করে পাঁচ ভারতীয়কে আটক করেছে বিজিবি। বিএসএফ-এর দাবি, বিজিবি ভুল লোকদের গ্রেফতার করেছে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা গরু পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছিল।
এদিকে প্রতি বছরই বর্ষার সময় এবং দুর্গাপুজোর সময় বাংলাকে মাছেদের রাজা ইলিশকে পাঠাত। কিন্তু এই বছর বর্ষাতেও বাংলার বাজারগুলিতে পদ্মাপাড়ের ইলিশের দেখা নেই। যে কারণে বেজায় মন খারাপ সকলের। তবে বিজিবি-র দাবি, বাংলাদেশের ইলিশ ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।