১৮৩ কোটি টাকার জালিয়াতি! PNB-র ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করল CBI

Published on:

PNB forgery

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সাত বছর আগে নিরব মোদী! আর ফের আরেকবার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ঘটল বিরাট জালিয়াতি (PNB Forgery)। হ্যাঁ, দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পিএনবি ফের জাল গ্যারান্টি অভিযোগে নাম লেখাল। এবার সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে পিএনবির শীর্ষস্থানীয় এক ম্যানেজার এবং কলকাতার ব্যবসায়ীকে। ঠিক কত টাকা আত্মসাৎ হল? চলুন জেনে নিই..

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঘটনাটি কী?

সিবিআই দাবি করছে, মধ্যপ্রদেশের এক সংস্থা MPJNL-র কাছে 183.21 কোটি টাকার জাল ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা দিয়েছিল। আর সেখানে তারা 974 কোটি তিনটি সেচ প্রকল্পের চুক্তি হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি 2023 সালের। আর এই বিরাট চুক্তির জন্য আটটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিও জমা পড়েছিল। এমনকি সেগুলো সম্পূর্ণ নকল।

এদিকে ফেক গ্যারান্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে টাকাও হাসিল করে নেয়। আর এর পিছনে ছিল গোটা একটি সিন্ডিকেট। এমনকি এর শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

গ্রেফতারের তালিকায় কারা কারা উঠল?

সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, তদন্তে উঠে আসছে দুই অভিযুক্তির নাম। প্রথমজন গোবিন্দ চন্দ্র হাসদা, যিনি পিএনবির এক শীর্ষ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। আর দ্বিতীয়জন মোহাম্মদ ফিরোজ খান, যিনি কলকাতার নিবাসী এক ব্যবসায়ী। 

সূত্রের খবর, সিবিআই ইতিমধ্যে দেশের পাঁচটি রাজ্যের 23টি জায়গায় হানা দিয়েছে। তালিকায় থাকছে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, ঝাড়খন্ড এবং মধ্যপ্রদেশ। এমনকি প্রমাণ হাতে পেয়েই ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে পরিচালিত একটি নিয়মিত জাল চক্র ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি তৈরি করত। আর তারপর সেই জাল দলিল ব্যবহার করেই বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের কাজ পেতে ওই সংস্থা। একের পর এক রাজ্যের টাকা আত্মসাৎ করার পর অবশেষে আইনের জালে ফাঁসল এই অপরাধীরা।

এমনকি এই প্রতারণার মামলার সূত্রপাত হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের নির্দেশে। আর সেখান থেকে 2025 সালের 9 মে তিনটি FIR দায়ের করেছিল সিবিআই। তারপর ধাপে ধাপে উঠে আসে হাড় হিম করা সব ঘটনা।

আরও পড়ুনঃ শুরুতেই বেতন ৪০,০০০! কেন্দ্রীয় সংস্থায় মাধ্যমিক পাসে সরকারি চাকরি

আগেও হয়েছিল এমন ঘটনা

বলে দিই, এই প্রতারণার ঘটনা অনেকটাই সেই 2018 সালের নিরব মোদীর কান্ডকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখনও পিএনবির মুম্বাই শাখা থেকে দেশের বাইরে ঋণ নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিল কিছু উচ্চপদস্থ কর্মচারী। আর তার মূল চক্রী ছিল এই নীরব মোদী। সেই ঘটনায় ব্যাঙ্কের ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় 6500 হাজার কোটি টাকা। এমনকি এবারের 183 কোটির জালিয়াতিও খুব একটা কম নয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group