নয়া দিল্লিঃ বর্তমান সময়ে দেশের এমন কোনও হেঁশেল নেই যেখানে গ্যাসে রান্না হয় না। এখন সিংহভাগ বাড়িতেই উনুন বা স্টোভে রান্নার চল উঠে গিয়েছে। সকলেই এখন নির্ঝঞ্ঝাটভাবে রান্না যাতে করা যায় তার জন্য গ্যাস নিচ্ছেন। কিন্তু এই রান্নার গ্যাস নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে হয়রানির শেষ নেই। বিশেষ করে যেদিন থেকে রান্নার গ্যাসের সঙ্গে সকল গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন বা E-KYC করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
সরকারের তরফে এই কাজ করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে সরকারের তরফে নির্দেশিকা পেতেই গ্রাহক থেকে শুরু করে গ্যাসের ডিলারদের মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে ছিল। যদিও আধার যাচাই ঘিরে হয়রানি বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে বলে অভিযোগ। কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে থাকা তো আবার সার্ভার বসে যাওয়া, নানা সমস্যার কথা প্রকাশ্যে উঠে আসছিল। তবে এসবের মাঝে নতুন করে ত্রাতা হিসেবে উঠে এল কেন্দ্র।
বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
এই আধার যাচাইকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আপনার বাড়িতেও কি রান্নার গ্যাস কানেকশন আছে? তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর পক্ষ থেকে যাঁরা এলপিজি কানেকশন নিয়ে রয়েছেন তাঁদের অনেকটাই স্বস্তি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য E-KYC করার কোনও সময়সীমা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীসার চিঠির জবাবে তিনি এই জবাব দিয়েছেন। অর্থাৎ তাড়াহুড়ো করে কোনও কাজ করার দরকার নেই।
৮ মাস ধরে চলছে কাজ
বিগত ৮ মাস ধরে সমগ্র দেশজুড়ে এই E-KYC করার কাজ চলছে। সতীসান একটি চিঠির মাধ্যমে বলেছিলেন যে কেওয়াইসি প্রয়োজনীয় তবে সংশ্লিষ্ট গ্যাস এজেন্সিগুলিতে এটি করার প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত এলপিজি গ্রাহকের সমস্যার সৃষ্টি করছে। তবে এর জবাবে হরদীপ সিং পুরী বলেন, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট দূর করতে এবং বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের ভুয়ো বুকিং রুখতে তেল বিপণন সংস্থাগুলি (ওএমসি) এলপিজি কাস্টারের জন্য ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া চালু করছে। তবে পুরী এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইকেওয়াইসি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপে জেরবার হবে দক্ষিণবঙ্গ! আজ ৬ জেলায় দুর্যোগ
তিনি বলেন, প্রকৃত গ্রাহক যাতে এলপিজি সেবা পায় তা নিশ্চিত করাই এর উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহের সময়, গ্যাস এজেন্সির কর্মীরা গ্রাহকের নথি যাচাই করে। সিলিন্ডার সরবরাহকারী ব্যক্তি তার মোবাইলের মাধ্যমে একটি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের আধার শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। এই গোটা প্রক্রিয়ায় কাস্টারের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসে, যা দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।