নয়া দিল্লিঃ সাধারণ মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার নানা রকমের প্রকল্প পরিচালনা করছে। দেশজুড়ে এমন বহু প্রকল্প এমন রয়েছে যার মধ্যে কিছু প্রকল্প রয়েছে যা মানুষের জন্য আর্থিকভাবে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়। এমনিতে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে সরকারি ও বাছাইকৃত বেসরকারি হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেয়ে যান মানুষ।
তবে এই প্রকল্প ছাড়াও ই-শ্রম কার্ডধারীদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে বিমা দেওয়া হচ্ছে। ই-শ্রম স্কিমের আওতায় শুধু চিকিৎসা ও বীমাই নয়, আরও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার কাছেও কি ই-শ্রম কার্ড আছে? বা এই কার্ড পেতে ইচ্ছুক? তাহলে আপনার জন্য রইল আজকের এই প্রতিবেদনটি।
ই-শ্রম কার্ড কী
এখন আপনার মাথাতেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে এই কার্ডের উপকারিতা কি? কারা ই-শ্রম কার্ড পেতে পারেন? কীভাবে আবেদন করবেন? তাহলে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। বর্তমান সময়ে দেশে এখনও অবধি এমন মানুষ রয়েছেন যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা অবধি করাতে পারেন না। তবে আর চিন্তা নেই, এবার কেন্দ্রের এই ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে আপনিও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে বিমা পেয়ে যাবেন।
কারা আবেদন জানাতে পারবেন
পরিযায়ী শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকদের ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা দেওয়া হয়। ৩০টি বিস্তৃত ব্যবসায়িক ক্ষেত্র এবং প্রায় ৪০০ ব্যবসার অধীনে ই-শ্রম পোর্টালে ই-শ্রম কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। গৃহপরিচারিকা/ড্রাইভার, দোকানের সেলসগার্ল/সেলসবয়, রিক্সা, ট্যাক্সি ড্রাইভার ইত্যাদি যাদের বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে তারা ই-শ্রম কার্ডের জন্য যোগ্য। কিন্তু ইপিএফও, এনপিএস, সিপিএস বা ইএসআইসির সদস্যরা ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা কী?
১) ই-শ্রম কার্ড হোল্ডাররা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
২) ৬০ বছর বয়সের পর ই-শ্রম কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন পাবেন।
৩) শ্রমিকদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত বীমা কভার দেওয়া হয়।
৪) দুর্ঘটনার জেরে প্রতিবন্ধী হলে শ্রমিকদের দেওয়া হয় এক লক্ষ টাকা।
৫) সব শ্রমিককে মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
৬) আবেদনকারীর প্রথম বাড়ি নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
৭) শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
৮) অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের তাদের সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য সহায়তা করা হয়।
কী কী নথি লাগবে
আপনিও যদি এই ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে চান তাহলে আপনার কাছে আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং মোবাইল নম্বর থাকা জরুরি।
কীভাবে আবেদন করবেন
১) ই-শ্রম পোর্টালে নিবন্ধনের জন্য, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.eshram.gov.in -এ যেতে হবে আবেদনকারীকে।
২) এরপর স্ক্রিনে একটি ফর্ম ফুটে উঠবে, তাতে ক্লিক করে সব তথ্য পূরণ করতে হবে।
৩) আপনার আধার নম্বর লিখুন এবং রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরটিও লিখুন।
৪) এরপর ইপিএফও, ইএসআইসি মেম্বার স্ট্যাটাস ছাড়াও ক্যাপচা কোড লিখুন।
৫) ফোন নম্বরে ওটিপি দেওয়ার পরে, রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সমস্ত বিবরণ পূরণ করুন।
৬) ‘Submit’ বাটনে ট্যাপ করার পর আপনি ই-শ্রম পোর্টালে নিজেকে রেজিস্টার করতে পারবেন।