শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ভারত ততই আরও ডিজিটাল হয়ে উঠছে। আর এই ডিজিটাল খাঁচায় বন্দি ৮ থেকে ৮০ সকলে। বড়রা হলেও ঠিক আছে, কিন্তু বর্তমান সময়ে শিশুরা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের প্রতি যেন আরও বেশি বেশি করে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এখন অনেক বাচ্চা এমন আছে যারা ফোন ছাড়া না খাবে না ঘুমোবে। এহেন ঘটনা যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার বিষয়ে রাশ টানতে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই পদক্ষেপ? তাহলে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
জানা গিয়েছে, শেষমেষ ‘ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন রুলস’-র (ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ নিয়মাবলী) খসড়া প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। শুক্রবার জনসাধারণের পরামর্শের জন্য ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার খসড়া বিধি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খসড়া বিধিমালা ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্তকরণের জন্য বিবেচনা করা হবে। ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের নতুন খসড়াটি পুরানো নিয়ম থেকে কীভাবে আলাদা করা হয়েছে? জেনে নেবেন।
শিশুদের তথ্য সুরক্ষায় গুরুত্ব
পুরনো নিয়মে শিশুদের তথ্য সুরক্ষার দিকে তেমন নজর দেওয়া হয়নি এবং বাবা কিংবা মায়ের সম্মতির নিয়মও স্পষ্ট ছিল না। তবে এখন নতুন নিয়মের অধীনে, ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির করতে বাবা ও মায়ের সম্মতি নিতে হবে। অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া শিশুরা আর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালাতে পারবে না। শুধু তাই নয়, তথ্য সংগ্রহের জন্য ডিজিটাল টোকেন ব্যবহার করে সম্মতি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পুরনো নিয়মে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান ও রিপোর্টিং প্রসেসরের দায়বদ্ধতা স্পষ্ট না থাকলেও এখন নতুন নিয়মে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানাতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি
পুরনো নিয়মে তথ্য সংগ্রহ ও হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম ছিল না। তবে নতুন নিয়মে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সম্মতি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল টোকেন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। সম্মতি পরিচালকদেরও ডেটা সুরক্ষা বোর্ডের সাথে নিবন্ধন করতে হবে, যার নেট মূল্য কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা হওয়া উচিত। পুরনো নিয়মে মতামত ও নিয়মের স্বচ্ছতা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকলেও নতুন বিধিমালায় খসড়া সম্পর্কে জনসাধারণের দেওয়া মতামত প্রকাশ করা হবে না।