প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: ভারতে মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়নের ফলে পরিবহন ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেকটাই অনেক উন্নত হচ্ছে। আর পরিবহন ব্যবস্থা উন্নতির ফলে বাড়ছে শিল্প ও ব্যবসার প্রসার। সেক্ষেত্রে তাই পণ্য পরিবহনের জন্য ভারী যানবাহনের সংখ্যাও বেশ বেড়েছে। তার সঙ্গে যাত্রীবাহী গাড়ির চলাচলও বৃদ্ধি তো হচ্ছেই। আর এর ফলে টোল আদায়ের পরিমাণও দিনের পর দিন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হওয়ায় সরকার আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে মাসিক পাস
কিন্তু ধীরে ধীরে নানা প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার হালও বেশ পরিবর্তন হচ্ছে। তাই এই আবহে এবার টোল ব্যবস্থায় এক নতুন পরিবর্তন আনতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করী (Nitin Gadkari)। জানা যাচ্ছে টোল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য এখন থেকে হাইওয়েতে প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে মাসিক পাস চালুর ভাবনচিন্তা শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করীর
ইদানিং ট্রেনে, বাসে, ট্রামে মাসিক পাস ব্যবস্থা চালু ছিল। এবার সেই মাসিক পাস ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারবেন প্রাইভেট গাড়িগুলিও। আসলে টোল থেকে উপার্জিত মোট অর্থের ২৬ শতাংশ আসে প্রাইভেট গাড়ি থেকে। আর বাকি ৭২ শতাংশ আসে কমার্শিয়াল গাড়ি থেকে। তাই সেক্ষেত্রে প্রাইভেট গাড়িগুলোকে স্বস্তি দিতে এবং টোল প্লাজায় গাড়িগুলির চাপ মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই পাস ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এমনকি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করী।
আরও পড়ুনঃ প্রকৃতির মাঝে লুকোনো স্বর্গ! কম খরচে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের হিডেন জেম হাতিবাড়ি থেকে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করী মাসিক পাস নিয়ে বলেছেন যে, ‘আমরা প্রাইভেট গাড়ি জন্যে খুব শীঘ্রই মাসিক বা বার্ষিক পাস চালু করার কথা ভাবছি। যা সাধারণের মোট উপার্জনের ওপর একদমই প্রভাব ফেলবে না।’ এছাড়া তিনি আরও জানান যে, স্থানীয়দের যাতে গাড়ির যানজটে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে হাইওয়ের সব টোল বুথ গ্রামের সীমানার বাইরে করার কথা হচ্ছে। সমস্যায় এখন পরিকল্পনার অধীনে।
বসানো হবে অনবোর্ড ইউনিট
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার গ্লোবাল ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম ভিত্তিক টোল ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে নজর দিয়েছেন। কারণ এই নয়া সিস্টেম স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ধারণ করবে যে একটি গাড়ি কতটা পথ চলেছে এবং সেই অনুপাতে সেই গাড়ির টোলের পরিমাণ কতটা হওয়া উচিত। তার জন্য গাড়িগুলিতে ‘অনবোর্ড ইউনিট’ বসানো থাকতে হবে। কারণ এই অনবোর্ড ইউনিট থেকেই সিগন্যাল পাবে ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট। আর তাতেই গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রাখা যাবে।