প্রীতি পোদ্দার, দিল্লি: বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য রাজনীতির নানা দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। কখনও DA বৃদ্ধি তো আবার কখনও বিভিন্ন প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অনুদানকে ঘিরে। কিন্তু এসবের মাঝেও বেশ কয়েকদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে বহুলভাবে প্রচারিত হচ্ছে একটি পোস্ট। যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমতিক্রমে দেশের সমস্ত কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের জন্য অবসরের বয়স বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬২ বছর। যা দেখে রীতিমত অবাক গোটা দেশ।
ভাইরাল পোস্ট
এইমুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখলেই দেখা যাচ্ছে যে সরকারী কর্মীদের অবসর নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে ভারত সরকার একটি মন্ত্রীসভার বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাচ্ছে যে এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের অবসরগ্রহণের বয়স বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হবে। এমনকী এও জানানো হয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত আগামী ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। অর্থাৎ এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কেন্দ্র সরকারি কর্মীরা আরও অতিরিক্ত ২ বছর কাজ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকার এবং কর্মী উভয়েই উপকৃত হবেন বলে জানা গিয়েছে। এই পোস্টে আবার এই ধরনের পদক্ষেপের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
পদক্ষেপের বেশ কয়েকটি কারণ!
যেই যেই কারণগুলি উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল
১/ অভিজ্ঞ কর্মীর চাহিদা রয়েছে কাজের জগতে। ফলে কর্মীদের মেয়াদ বাড়ালে তা সংস্থার পক্ষে লাভদায়ক এবং সুবিধাজনক হবে।
২/ অবসরের বয়স আরও ২ বছর বাড়ালে কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত খরচ কম করতে হবে সরকারকে। তখন দেরি করে শুরু হবে পেনশন প্রক্রিয়া।
৩/ বিগত কয়েক দশকে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকাল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ১৯৯৮ সালে যা ছিল ৬১.৪ বছর, তা ২০২৪ সালে এসে হয়েছে ৭২.২৪ বছর।
৪/ এছাড়াও অভিজ্ঞ দক্ষ কর্মী সংস্থায় থাকলে সংস্থার কাজ আরো অনেক ভাল হবে এবং অনেক বেশি নিখুঁত হবে।
PIB এর তরফে কী জানানো হয়েছে?
কিন্তু প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা PIB এর পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে লোকসভায় কেন্দ্র সরকার, সরকারি কর্মীদের অবসর গ্রহণের বয়স বদল করা নিয়ে কোনও প্রস্তাব গৃহীত করেনি। যার দরুন এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটা সম্পূর্ণ স্পষ্ট যে সরকারী কর্মীদের অবসর গ্রহণের বয়সের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এবং যে বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরপাক খাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ গুজব।