বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ক্রমশ কমছে চন্দ্রভাগা বা চেনাবের (Chenab River) জলপ্রবাহ। সম্প্রতি পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাক জল এবং বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গত দুদিনে জলপ্রবাহের খতিয়ান প্রকাশ করে বিরাট দাবি করেছে। পাকিস্তানের জল ও বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, গত দুদিনে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ ব্যাপক হারে কমেছে।
তথ্য দিয়েছে ডব্লিউপিডিএ
গতকাল অর্থাৎ শনিবার চন্দ্রভাগার সাম্প্রতিক জলপ্রবাহ প্রসঙ্গে একটি তথ্য প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের জল ও বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তাতে দাবি করা হয়েছে, বিগত কিছুদিনে চেনাব বা চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভারতের দিক থেকে মারালার দিকে অন্তত 98 হাজার 200 কিউসেক জলপ্রবাহ হয়েছে।
তবে নাকি শুক্রবার থেকে সেই জলপ্রবাহের পরিমাণ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের জল ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শুক্রবার চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ ছিল 44 হাজার 800 কিউসেক। তবে শনিবারে পা দিতেই ওই নদীতে জলপ্রবাহ মাত্র 7 হাজার 200 কিউসেক হয়ে যায়। অর্থাৎ গত দুদিনে জলপ্রবাহ কম করে 91 হাজার কিউসেক কমে গিয়েছে।
চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ নিয়ে ভারতকে দুষল পাকিস্তান
সম্প্রতি পশ্চিম দিকের দেশের সংবাদমাধ্যম ডন তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সেচ বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক নাকি জানিয়েছেন, ভারত চন্দ্রভাগা নদীতে জলপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে ওই জল পাকিস্থানে না পাঠিয়ে বিভিন্ন বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে মজুদ রেখেছে তারা। ভারত আমাদের জল আটকে দিয়েছে। এটা সত্যিই অন্যায়! ওরা এটা করতে পারে না।
তবে ভারতের বিরুদ্ধে শুধুই জল আটকানো নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েই থেমে থাকেনি পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগা নদীর জল প্রবাহ দিন দিন কমে যাওয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে পাকিস্তান! পাকিস্তানের তরফে নাকি দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষবিরতির পরও সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত রেখে খারাপ কাজ করছে ভারত!
অবশ্যই পড়ুন: পুরনো দলের সাথে হয়েছে বিচ্ছেদ! সসম্মানে ইস্টবেঙ্গলে আসছেন বড় তারকা
প্রসঙ্গত, পশ্চিমের দেশের তরফে 1960 সালের জল বন্টন চুক্তি নিয়ে বারংবার হুমকি এলেও, পুরনো অবস্থানে অনড় ভারত। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রক্ত ও জল একসাথে বইতে পারে না। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সাথে কোনও রকম আলোচনায় বসতে রাজি নয় দিল্লি! তবে পাকিস্তান যদি একান্তই আলোচনায় রাজি হয়, সে ক্ষেত্রে ও দেশের সাথে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করার বিষয়েই কথা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |