ঘুঁচবে ট্রাম্পের দাপাদাপি! রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে জিনপিংয়ের চিঠির পরই কাছাকাছি ঘেঁষছে ভারত-চিন

Published:

China-India Relations are recovery after xi jinping letter to president murmu
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকার চোখ রাঙানি মানে না ভারত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত গাজোয়ারিতে দেশের স্বার্থে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল নয়া দিল্লি।সেই মতোই এবার মার্কিন শুল্ক নীতির বিরোধিতা করে কাছাকাছি আসছে চিন-ভারত (China-India Relations)। দীর্ঘ টানাপোড়েন কাটিয়ে ফের বন্ধুত্ব বাড়াবে দুপক্ষ। সেই মতো, আগামী রবিবার চিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তার আগেই বেইজিং থেকে আসা চিঠিতে মিলল বড় ইঙ্গিত ।

জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, ট্রাম্পের চড়া শুল্কনীতি ঘোষণার পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মনে করা হচ্ছে, তাঁর সেই বার্তার পরই ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন দিশা পাবে।

চিঠিতে জিনপিংয়ের বড় বার্তা

রিপোর্ট অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং জানিয়েছেন, চিনের জন্য ক্ষতিকারক এমন চুক্তিতে যদি ভারত এবং আমেরিকা সহমত হয়ে যায় তবে তা বেজিংয়ের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের হবে। বিশ্লেষক মহলের একটা বড় অংশের দাবি, ভারতের মনোভাব খুঁচিয়ে দেখতেই এই চিঠি দিয়েছে চিন।

আসলে সম্প্রতি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যেকার বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত সেই সব দিক মাথায় রেখে ভয়ে ভয়ে আবহাওয়া বুঝতেই রাষ্ট্রপতিকে এই চিঠি পাঠিয়েছে বেইজিং।

অবশ্যই পড়ুন: জাতীয় দলে উপেক্ষা নয়? এই কারণেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন পুজারা, জানালেন নিজেই

জিনপিংয়ের চিঠির পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্ক সুস্থ হতে শুরু করেছে

রাষ্ট্রপতিকে লেখা ওই চিঠিতে জিনপিং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কৃতিত্ব ফলানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন। কূটনৈতিক থেকে শুরু করে বিশ্লেষক মহলের অনেকেই মনে করছেন, আবহাওয়া বুঝতে ভারতে শিয়ের ওই চিঠির পর থেকেই ভারত এবং চিনের মধ্যেকার দীর্ঘ ফাটল ভরাট হতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে সম্পর্কও।

আসলে চিনের প্রেসিডেন্টের এমন চিঠির পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা সুপথ দেখতেই দ্বীপাক্ষিক রপ্তানিতে ছাড়পত্র থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরুর মতো বিষয়গুলি নিয়ে জট কেটেছে। এবার সেটাই আমেরিকার চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাছাড়াও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির বেইজিং সফর ট্রাম্পের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখ কি?

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join