শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বাংলাদেশ এবং বিতর্ক যেন এখন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন দফায় দফায় একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরে সমাবেশের সময় বাংলাদেশের পতাকার অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে আটক করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এসবের মাঝেই ইসকন বিস্ফোরক দাবি করল। ইসকন সোমবার দাবি করেছে, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী রমেন রায়ের ওপর বাংলাদেশে নৃশংসভাবে হামলা করা হয়েছে।
বিস্ফোরক ইসকন
গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেই চলেছে। হিন্দুদের ঘর বাড়ি, দোকান, মন্দির, ভেঙে দেওয়া, জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছে যে হিন্দুরা বাড়ি থেকে বেরোতে অবধি ভয় পাচ্ছেন। আবার অনেকে এমনও রয়েছেন যারা প্রাণের ভয়ে সীমান্তে গিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং ভারতে ঢুকতে দেওয়ার অনুরোধ করছেন। এহেন অবস্থায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ভারত একাধিক মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারই মাঝে একজন আইন রক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলে।
ইসকন কলকাতার প্রবক্তা রাধারমণ দাস নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “অ্যাডভোকেট রমেন রায়ের জন্য প্রার্থনা করুন। তাঁর একমাত্র ‘দোষ’ ছিল আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে রক্ষা করা। ইসলামপন্থীরা তার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করে, তাকে আইসিইউতে রেখে তার জীবনের জন্য লড়াই করে।”
ICU -তে আইনজীবী
রাধারমণ দাস আইসিইউতে থাকা বিশিষ্ট আইনজীবী রমেন রায়ের একটি ছবি সহ এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন। একটি নিউজ চ্যানেলকে ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস অ্যাডভোকেট রমেন রায়ের উপর হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এটি চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর আইনি প্রতিরক্ষার প্রত্যক্ষ ফলাফল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদের ঝুঁকি বাড়ছে। সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার প্রবক্তা বিশিষ্ট ইসকন পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে বিক্ষোভকারীরা আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ঢুকে প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানায়। ঢাকাগামী আগরতলা-কলকাতার একটি যাত্রীবাহী বাস বিশ্বরোডে দুর্ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার পর হাইকমিশন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।