‘সংবিধানের উপর আক্রমণ!’ জুতো ছোঁড়া কাণ্ডে মুখ খুললেন CJI গাভাইয়ের ৮৪ বছরের মা

Published:

CJR BR Gavai
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের (CJI BR Gavai) দিকে জুতা ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিল আইনজীবী রাকেশ কিশোর, যা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়। আর ঘটনাটি নিয়ে এবার বিচারপতির মা অর্থাৎ 84 বছর বয়সী কমলতাই গভাই মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির উপর হামলা নয়, বরং ভারতীয় সংবিধানের উপরেই সরাসরি আঘাত।

নষ্ট হচ্ছে সংবিধানের মর্যাদা

এই ঘটনা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কমলতাই দেবী বলেছেন, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সংবিধানের গুরুত্ব সবাইকে দেওয়া উচিত। বিশেষ করে ভারতীয় সংবিধানের অধিকার সবার সমান। কিছু কিছু লোক নিজের হাতেই ক্ষমতা নিয়ে এমন আপত্তিকর কাজ করে বেড়ায়, যা দেশের প্রতি লজ্জাজনক। ও শুধু আমার ছেলে বলে নয়। এটা যে কোনও কারও সঙ্গে হলে একই কথা বলতাম। এরকম ঘটনা ঘটানোর মতো অধিকার দেশে কারোরই নেই। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, আপনাদের যা প্রশ্ন আছে তা শান্তিপূর্ণভাবেই আদালতে তুলে ধরুন।

কমলতাই আরও বলেছেন, আইন আমাদের নিজের হাতে তোলা উচিত নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির মর্যাদাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সবার সম্মান বজায় রাখতে হবে আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এটি শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ বলা চলে না, বরং সংবিধানের উপরে সরাসরি আঘাত। এই ঘটনা ভারতের সংবিধানকেই অপমানিত করছে। তাই যারা সংবিধানবিরোধী কাজ করবে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া উচিত, এমনকি কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দরকার।

তিনি বিআর আম্বেদকরের বক্তব্য তুলে ধরে বলেছেন, সবাই বাঁচুন, বাঁচতে দিন। এই নীতির উপর ভিত্তি করেই আমাদের চলা উচিত। অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধান তিনিই আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন। আর সেই দেশে এরকম অস্থিরতা বা অনৈতিক কার্যকলাপ করার অধিকার কারও নেই। আমি জনগণকে তাদের সমস্যাগুলিকে শান্তিপূর্ণভাবে এবং সাংবিধানিক উপায়ে সমাধান করার জন্য অনুরোধ করব।

ঘটনাটি কী?

বলে রাখি, গত পরশুদিন অর্থাৎ 6 অক্টোবর আদালতকে বিচার চলাকালীন সিজিআর বিআর গাভাইয়ের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন এক আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করছিলেন যে, বিচারপতি সনাতন ধর্মের অসম্মান করছেন। তবে আদালতে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে আদালত থেকে বার করে দেন। এমনকি বিআর গাভাই এই ঘটনায় কোনওরকম বিচলিত হননি, বরং তিনি বিচার চালিয়ে যান। পাশাপাশি আদালতের কাউকে বিভ্রান্ত হতেও তিনি বারণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা, ফোনে পুতিনকে ৭৩তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী

তবে সংবাদসংস্থা এএনআই’কে ওই প্রবীণ আইনজীবীর রাকেশ কিশোর বলেছেন, আমার এতে কোনওরকম অনুতাপ নেই, আমি যা করেছি আমার হৃদয়ের আঘাত থেকেই করেছি। গত 16 সেপ্টেম্বর আমি প্রধান বিচারপতির কাছে একটি পিআইএল দায়ের করেছিলাম। সেখানে আমি খাজুরাহোর জাওরি মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির মাথা পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছিলাম। তবে বিচারপতি হেসে উড়িয়ে দিয়ে আমাকে ভগবানের কাছে গিয়ে প্রণাম করতে বলেন। তাই এতে আমার কোনওরকম অনুতাপ নেই। এমনকি ভয়ও কাজ করছে না।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join