সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা চলাকালীন বারবারই একজনের নাম উঠে আসছিল। আজ মঙ্গলবার একদিকে যখন দেশজুড়ে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আর এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একজন মানুষের নাম বারবারই উঠে আসছিল। আর তিনি হলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিকে বারবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ওঠায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। আজ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সেইসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত রায় দেয়, আগামী ১৬ জুলাই অবধি চাকরি করতে পারবেন যোগ্য-অযোগ্যরা। তবে বারবার আজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতেই প্রধান বিচারপতি জানালেন, ‘মূল বিষয় থেকে আমাদের মনযোগ সরানো উচিৎ নয়।’
এদিন এসএসসি মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের নাম তোলেন আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে। তিনি দাবি করেন, অতিরিক্ত শূন্যপদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এটা ছিল অত্যন্ত ‘শকিং’। আর সেটা হয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কারণে। এরপরেই পেওধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এখানে তাঁকে নিয়ে স্ক্রুটিনি করতে বসিনি। আমরা বোধ হয় মূল বিষয় থেকে সরে আসছি।
প্রাক্তন বিচারপতি বা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কোনও লাভ হবে না। আইনজীবীদের কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আদালতে যখন তাঁরা আসেন, তখন পুরোটাই আইনকে ঘিরে আলোচনা করা উচিত।’তিনি বলেন, ‘আমরা মিস্টার গঙ্গোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে এখানে আলোচনা করছি না। আমরা সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুনছি। দয়া করে কিছুটা শালীনতা দেখান। এখন কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। আমরা নোটিশ জারি করব। আর আগামী জুলাইয়ে মামলাটা রাখব। সুশৃঙ্খলভাবে শুনানি এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।’