স্কুলের সন্মান ফিরে পেতে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে নরবলি দিল উত্তরপ্রদেশের শিক্ষকেরা!

Published on:

black magic

প্রীতি পোদ্দার: যত দিন এগোচ্ছে সমাজ ততই উন্নত হচ্ছে। বিজ্ঞানের পথও বেশ প্রশস্ত হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও এখনও পর্যন্ত অন্ধকার এবং কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে পারল না সমাজ। গ্রামেগঞ্জে এখনও যেমন এই কুসংস্কার চিরস্থায়ী হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনি শহরের বুকেও দেখা যায় অভিশপ্ত এই কুসংস্কার এর খেলা। সম্প্রতি স্কুলের নাম যশ এবং প্রতিপত্তির জন্য নরবলির শিকার হতে হল এক শিশুকে।

ঘটনাটি কী?

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের রাসগাও এলাকায় ডি এল পাবলিক স্কুলটি বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষতির মুখে পড়ছে। আর এই লোকসানের কথা চিন্তা করতেই ওই স্কুলের ডিরেক্টর, তাঁর বাবা এবং তিন শিক্ষক এর মনে এক ভয়ংকর ধারণার জন্ম হয়। জানা যায় ওই স্কুলের উন্নতির জন্য এনারা এক নরবলির পরিকল্পনা করে ছিলেন। আসলে ওই বেসরকারি স্কুলটির ডিরেক্টরের বাবা ‘কালোজাদু’র চর্চা করে। তাঁর মাথার থেকেই মূলত এই নরবলির পরিকল্পনা উঠে আসে। তিনি বলেছিলেন স্কুলের একটি শিশুকে ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করলেই স্কুলের প্রতিপত্তি বাড়বে।

আর এই পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি ৪ জন উঠেপড়ে লেগে যায় সেই অসৎ পরিকল্পনা সফল করতে। টার্গেট করা হয় এক দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশুকে। সেই অনুযায়ী চলতি মাসে একাধিকবার স্কুলের হোস্টেল থেকে ওই শিশুকে তুলে এনে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেবার শিশুটি কোনো খারাপ কিছু আন্দাজ করায় হস্টেল রুমের অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয়। আর সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। কিন্তু শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর ফের চেষ্টা করা হয় খুনের।

তদন্তের সূত্রে উঠে আসে কালোজাদুর ভূমিকা

জানা গিয়েছে, পরদিন সকালে নিজের বিছানায় নিথর দেহ পাওয়া যায় শিশুটির। হোস্টেল থেকে ওই শিশুটির বাড়িতে ফোন করে বলা হয় যে তাঁদের সন্তান গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে চলে যান শিশুটির বাবা। শেষে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির বাবা দেখেন অভিযুক্তদের গাড়িতে তাঁদের সন্তানের দেহ পড়ে আছে। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানোর পরেই তদন্তে নেমে স্কুল চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয় কালোজাদু এবং বলির সামগ্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের ডিরেক্টরের বাবা তন্ত্রবিদ্যা এবং কালোজাদুর চর্চা করতেন। শেষে পুরো ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে স্কুলের ৩ শিক্ষক, ডিরেক্টর এবং তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে হাথরাস পুলিশ। পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন তদন্ত এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥