সহেলি মিত্র, কলকাতা: বর্তমান সময় এখনো এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা রেশনের ওপর নির্ভর করে থাকেন। খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার ( পিডিএস ) অধীনে তৈরি রেশন কার্ড (Ration Card) সম্পর্কে সরকার কিছু বিশেষ নিয়ম দিয়েছে। নিয়মগুলিতে বলা হয়েছে যে কারা রেশন কার্ডের জন্য যোগ্য এবং কারা নয়। যদি অযোগ্য ব্যক্তিরা রেশন কার্ড তৈরি করে থাকেন এবং রেশন বিতরণের সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবেই রেশন ব্যবস্থা নিয়ে প্রায়শই শোনা যায় নানা রকম অভিযোগ। এমন বহু অভিযোগ রয়েছে যেখানে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ঘুষ চাওয়া হয়েছে অভাবীদের কাছ থেকে। আপনার কাছ থেকেও কি কাজ হাসিল করিয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়া হয়েছে? তাহলে জেনে রাখুন কোথায় কীভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন।
ঘুষ চাইলে এভাবে জানান অভিযোগ
ধরুন যদি কোনও সরকারি কর্মচারী রেশন কার্ড তৈরির বিনিময়ে ঘুষ দাবি করেন, তাহলে প্রথমে আপনার জেলার জেলা সরবরাহ কর্মকর্তা (DFSO) অথবা খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের কাছে অভিযোগ করুন। যদি সেখান থেকে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আপনি রাজ্য লোকায়ুক্ত, রাজ্য ভিজিল্যান্স বিভাগ অথবা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতেও অভিযোগ করতে পারেন।
এছাড়াও, প্রতিটি রাজ্যের সরকার নিজস্ব জনশুনানি পোর্টাল তৈরি করেছে, যেখানে আপনি অনলাইনে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন। অনেক রাজ্যে টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরও জারি করা হয়েছে যেখানে আপনি সরাসরি দুর্নীতির বিষয়ে কল করে অভিযোগ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে CPGRAMS (সেন্ট্রালাইজড পাবলিক গ্রিভেন্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম) -এও এই ধরনের অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।
নোট করুন এই টোল ফ্রি নম্বর
অরুণাচল প্রদেশ – 03602244290
অন্ধ্র প্রদেশ – 1800-425-2977
আসাম – 1800-345-3611
বিহার- 1800-3456-194
ছত্তিশগড়- 1800-233-3663
গোয়া- 2200-গুজরাট 1800-233-5500
হরিয়ানা- 1800-180-2087
হিমাচল প্রদেশ – 1800-180-8026
ঝাড়খণ্ড – 1800-345-6598, 1800-212-5512
কর্ণাটক- 1890-4395, 1800-425-1550
মহারাষ্ট্র- 1800-22-4950
মণিপুর- 1800-345-3821
মেঘালয় – 1800-345-3670
মিজোরাম – 1860-222-222-789, 1800-345-3891
নাগাল্যান্ড – 1800-345-3704,
পাঞ্জাব – 1800-3006-1313
রাজস্থান – 1800-180-6127
সিকিম – 1800-345-3236
তামিলনাড়ু – 1800-425-5901
তেলেঙ্গানা -03035-035
পশ্চিমবঙ্গ – 1800-345-5505
রেশনকার্ড ব্যবহারকারীদের জন্যেও কিছু নিয়ম
নিয়মে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে যদি অযোগ্য ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই রেশন কার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তাদের অবিলম্বে তা জমা দিতে হবে। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার থাকবে। সরকারি বিভাগগুলিতে অভিযোগ এসেছে যে করোনা মহামারীর সময়, যারা এর আওতায় পড়ে না তারাও রেশন কার্ড তৈরি করে সুবিধা নিতে শুরু করেছে ।
প্রকৃতপক্ষে, করোনা মহামারীর কারণে জারি করা লকডাউনের সময়, সরকার দরিদ্র মানুষদের রেশন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা শুরু করে এবং বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ শুরু করে। এই প্রকল্পটি এখনো চলছে। চাল, গম এবং ছোলা ছাড়াও, এই প্রকল্পে অন্যান্য জিনিসও দেওয়া হয়। এই খাদ্য সামগ্রীর সুবিধা নেওয়ার জন্য, এমনকি যারা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত নন বা ধনী শ্রেণীর হওয়া সত্ত্বেও রেশন নিচ্ছেন তারাও জাল নথি জমা দিয়ে রেশন কার্ড তৈরি করেছেন। সরকার এই ধরনের লোকদের তদন্ত শুরু করেছে এবং তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ আর ঝক্কি নয়, পোস্ট অফিসের টাকা এবার সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, আসছে নয়া নিয়ম
সরকার বলেছে যে, যদি অযোগ্য ব্যক্তিদের রেশন কার্ড তৈরি করা হয়ে থাকে, তাহলে তাদের তা সমর্পণ করতে হবে। যদি তারা কার্ড সমর্পণ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। শর্ত অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির ১০০ বর্গমিটারের বেশি আয়তনের প্লট, ফ্ল্যাট বা বাড়ি, চার চাকার গাড়ি বা ট্র্যাক্টর থাকে, গ্রামে ২ লক্ষ টাকার বেশি এবং শহরে ৩ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক আয় থাকে, তাহলে এই ধরনের ব্যক্তিরা রেশন প্রকল্পের যোগ্য নন এবং তাদের রেশন কার্ড সমর্পণ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |