শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বাড়ছে। কারণ হু হু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার বদলে বেড়েই চলেছে। ফল মূল, শাক সবজি থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্য বস্তুর দাম এখন উর্দ্ধমুখী। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সম্প্রতি এই মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। আর এই তথ্য রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছে।
হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের
জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে সকলের। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে তেল, সাবান, বিস্কুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস তৈরির সংস্থাগুলির মুনাফা কমা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মূল্যবৃদ্ধির জেরে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন জিনিসের উৎপাদনের খরচও এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। আর এগুলিই কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে সাধারণ আমজনতার।
এমন বহু সংস্থা রয়েছে যারা কিনা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার অনেক সংস্থা এমনও রয়েছে যারা কিনা জিনিসের পরিমাণ তথা ওজন কমিয়ে দিয়েছে। তারপরেও সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
তালিকায় রয়েছে এই কোম্পানিগুলি
বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে লাভ হারাচ্ছে হিন্দুস্থান ইউনিলভার, আইটিসি, ডাবর, মেরিকো, পার্লে অ্যাগ্রোর মতো সংস্থা। গত এপ্রিল-জুন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে তাদের আর্থিক ফলে যা স্পষ্ট। যেমন পার্লে অ্যাগ্রোর এমডি নাদিয়া চহ্বাণ বলেন, ‘‘চলতি অর্থবর্ষে নানা কারণে লাভ কমেছে। তাই দাম স্থির রেখে একাধিক পণ্যের ওজন কমিয়েছি। এ ছাড়া পথ ছিল না।’’ অন্যদিকে কোকা কোলার ২০ টাকার ঠান্ডা পানীয়ের বোতলের মাপ কমেছে ১০%-২০%। পার্লে জি-র ৫ বা ১০ টাকার প্যাকেটে বিস্কুট কমেছে ২০%-৪০%। এখানে দাম ও ওজন, দুই-ই বদলেছে। ২০ টাকার ভিম বারের ওজন প্রায় ২০ গ্রাম কমেছে।
এ বিষয়ে Sabisco বিস্কুট প্রস্তুতকারী সোনা বিস্কুটের কর্তা মৃণাল সেন বলছেন, ‘দাম না বাড়িয়ে পণ্য কম দিচ্ছি। মূলত, ৫-১০ টাকার বিস্কুটের প্যাকেটের আকার কমছে। ক্রেতারাও বেশির ভাগ ছোট প্যাকেট কিনছেন। একই দামে বাড়তি পাওয়ার সুবিধাও তুলে নেওয়া হচ্ছে।’