বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: 2001 এ ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলায় দোষী সাব্যস্ত মহম্মদ আফজাল গুরু এবং জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মকবুল ভাটের কবর তিহার জেল চত্বর থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আফজাল গুরু এবং মকবুল ভাটের কবর অপসারণ সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়। তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে আবারও এ ধরনের মামলা চালু করা সম্ভব নয়।
সংবেদনশীল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় আদালত
তিহার জেল চত্বর থেকে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলাকারী মৃত আফজাল গুরু এবং জেকেএলএফ এর প্রতিষ্ঠাতা মকবুলের কবর অপসারণের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হলে, সম্প্রতি আদালত সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এটি জাতীয় সিদ্ধান্ত। যা শুধুমাত্র উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে পারে। কোনও আইনসঙ্গত উপায়ে কারাগার চত্বরে দাফন বা কবরের বিষয়টি নিষিদ্ধ না হলে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।
দিল্লি হাইকোর্টের তরফে আরও জানানো হয়, দীর্ঘ 12 বছর ধরে ওই কবর জেল চত্বরেই রয়েছে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে সবদিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এতদিন পেরিয়ে এখন সেই সিদ্ধান্ত বদলের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানান, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছাড়া আইনের অনুপস্থিতিতে জাতীয় বিষয়ে নাক গলানোটা অযৌক্তিক। এই বিষয়গুলি খুবই স্পর্শকাতর। আমরা কি 12 বছর পর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি?
অবশ্যই পড়ুন: SAARC পুনর্বহালের দাবিতে আমেরিকার দরজার ইউনূস! পাত্তা দিল না US
উল্লেখ্য, 2001 সালে ভারতীয় সংসদ হামলায় আফজাল গুরুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় ট্রায়াল কোর্ট এমনকি দিল্লি হাইকোর্টও তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন রাষ্ট্রগুলির স্বাক্ষরের পরই 2001 সংসদ ভবন হামলার মূলচক্রীকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একইভাবে আদালতের নির্দেশেই মকবুল ভাটকে ফাঁসি দেওয়ার পর দুজনের মৃতদেহ তিহার জেল চত্বরেই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।