বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পরও মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা হয়েছে বলেই এমনটা ভাবার প্রয়োজন নেই যে, পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক। আগামী দিনে আরও বড়সড় লড়াইয়ে জড়াতে পারে দুই শত্রু। এমতাবস্থায়, পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতেও!
বহু আগেই ইরান হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বন্ধ করা হবে হরমুজ প্রণালী। আর সেই হুঁশিয়ারি সত্যি হলে, তেল ও পেট্রোলিয়াম গ্যাস নিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবে ভারত! যদিও কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যায় ভারতে তেলের ঘাটতি তৈরি হবে না। ভারতের বেশিরভাগ তেল সরবরাহ হরমুজ প্রণালী দিয়ে হয় না। আর এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোন কৌশলে দুর্গম পরিস্থিতিতেও তেলের ঘাটতি মেটাবে ভারত?
রাশিয়া ও আমেরিকা থেকে বেড়েছে তেল আমদানি
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়তেই বন্ধু রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র জুন মাসে মস্কো থেকে প্রতিদিন 22 লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করছে দিল্লি। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদার অর্থাৎ কুয়েত, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী, কাতার ও ইরানের মতো দেশগুলি থেকে আমদানি করা তেলের মোট পরিমাণের থেকেও বেশি।
তবে শুধু রাশিয়া নয়, জানা গেছে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের মাঝে আমেরিকা থেকে ও প্রতিদিন বিপুল তেল আমদানি করেছে কেন্দ্র। ফলত, ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে দেশে তেলের ঘাটতি মিটিয়ে নিয়েছে দিল্লি।
ভারতের গোপন তেলের ভান্ডার
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি অর্থাৎ দুর্গম পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে তেল মজুদ (Indian Secret Oil Reserve) করে রেখেছে ভারত। আসলে ভারতের এই কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার প্রধান মেরুদন্ড। অর্থাৎ খারাপ সময় বা দেশে তেলের আকাল দেখা দিলে ওই গোপন রিজার্ভগুলি থেকেই তেলের ঘাটতি মেটাবে ভারত।
কোথায় কোথায় রয়েছে ভারতের এই পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ?
বলে রাখি, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর, তামিলনাড়ুর পাদুর সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় 90 মিটার গভীর ভূগর্ভস্থ শিলা গুহায় 5.33 মিলিয়ন মেট্রিক টন অর্থাৎ প্রায় 38 মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল মজুদ রয়েছে। বলা বাহুল্য, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম গুহা বিশ্বের গভীরতম জ্বালানি সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।
অবশ্যই পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের আগেই টিম ইন্ডিয়া থেকে বাদ গম্ভীরের প্রিয় পাত্র! কারণ কী?
দেশে মজুদ তেলে 74 দিনের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব !
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে যেসব তেলের ভান্ডার রয়েছে সেগুলি থেকে নাকি কঠিন পরিস্থিতিতে অন্তত 10 দিন চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এই তেলের পরিমাণ যদি তেল বিপণন সংস্থার বাণিজ্যিক মজুদের সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে মোট তেলের পরিমাণ দিয়ে বিপদকালীন সময়ে 74 দিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |