নিজেদের ব্যর্থতা ভারতের উপর চাপাবেন না! বাংলাদেশকে সতর্ক করল নয়া দিল্লি

Published on:

Bangladesh

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলার সাথে নয়া দিল্লির সম্পর্ক দিনের পর দিন নতুন মোড় নিচ্ছে। সম্প্রতি ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ব্যর্থতার দায় যেন অন্যের ঘাড়ে না চাপিয়ে দেয়! পাশাপাশি নয়া দিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠনের পক্ষপাতী।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

কী বলল ভারত?

প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলির দায়িত্ব তাদের নিজেদেরই নিতে হবে। অজুহাতে দেখিয়ে কিচ্ছু এড়ানো যাবে না। আমরা চাই বাংলাদেশ দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠন করুক।

এমনকি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে নয়া দিল্লির তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তারা যেন নিজেদের ব্যর্থতার দায় ভারতের উপর না বর্তায়। অজুহাত দেখিয়ে কোনোরকম সমস্যা সমাধান করা যায় না।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কী ঘটেছে বাংলাদেশের অন্তরে?

সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহম্মদ ইউনূস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এমনকি বৈঠকের আগে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে বৈঠক চলাকালীন তিনি ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সড়ব হয়েছিলেন। এমনকি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান দাবি করছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের জন্য ভারতের আধিপত্যবাদ মূল কারণ। তাই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এই সমস্ত খবরে মতামত দিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তার বক্তব্য, বাংলাদেশের সামনে এখন যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়েছে, সেগুলো তাদেরকেই মোকাবিলা করতে হবে। ভারতের উপর কোনোরকম দোষ চাপানো যাবে না। 

আরও পড়ুনঃ জামাই ষষ্টির আগে সুখবর শোনাচ্ছে সোনা, রুপো নিয়ে খারাপ খবর! আজকের রেট

ভারত চাইছে দ্রুত নির্বাচন…!

এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারত দ্রুত নির্বাচন চাইছে। নয়া দিল্লির মতে, নির্বাচিত সরকার যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত হবে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার পথ খুলে যাবে। 

তবে নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে। প্রথমত, বিএনপি চাইছে 2025 সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হোক। অন্যদিকে ইউনূস সরকার আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব যেন আরো গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। তার মধ্যে ভারত সরকারের এই স্পষ্ট বার্তা রাজনৈতিক মহলে আরো জলঘোলা সৃষ্টি করছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group