প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আর নয় দুয়ারে রেশন (Door To Door Ration System)! গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা কথা ভাবতে গিয়েই খরচ বাড়ছে রাজ্যের কোষাগারে! নতুন মাস পড়ার আগেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল গ্রাহকদের। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর, দুয়ারে রেশন ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন মমতা। ২০২১ থেকে রাজ্যে শুরু হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্প। রেশন দোকানে যেমন রেশন সামগ্রী পাওয়ায় যাচ্ছিল, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে এবার সেই ব্যবস্থা বন্ধ হতে চলল।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে এই দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ হতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। গত ২০ মে অন্ধ্রপ্রদেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, দিব্যাঙ্গ এবং ৬৫ ঊর্ধ্ব নাগরিক ছাড়া কোনও রেশন গ্রাহকের জন্যই আর দুয়ারে রেশন চালু থাকবে না। তাদের প্রাপ্য চাল-গম নিতে হবে নির্দিষ্ট রেশন দোকান থেকেই। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত দিল্লিতে খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রককে জানিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। শেষে আগামী ১ জুন থেকেই বন্ধ হতে চলেছে এই রেশন ব্যবস্থা। যদিও দিল্লির সরকার এর আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি এর ব্যবস্থা বন্ধের পিছনে অন্যতম কারণও উঠে এসেছে।
সম্পূর্ণ বন্ধ দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা
আসলে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে বাড়তি খরচ। আর এই বাড়তি খরচের তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছে খাদ্যশস্য লিকেজ, সময়মতো হিসেব না মেলানোর সমস্যা, ঠিক তেমনই রয়েছে রেশন দেওয়ার গাড়ি গুলিকে মাসের অর্ধেক সময় বসিয়ে রাখা এবং অত্যাধিক সংরক্ষণ খরচ। কিছুদিন আগেই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ছ’ পাতার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে যে, এইমুহুর্তে গ্রাহকের বাড়ির কাছে রেশন পৌঁছতে বছরে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। আর এই খরচের মধ্যে বড়সড় হিসেবের গরমিল দেখা যাচ্ছে। তাই সেই সমস্যা দূর করতে দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করা হচ্ছে।
বঙ্গে চালু থাকবে এই ব্যবস্থা
তবে এখনই পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হচ্ছে না দুয়ারে রেশন। সাধারণ মানুষের কাছে রেশনিং ব্যবস্থা আরও সহজলভ্য করার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে যে যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হল এটি। যদিও এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বছরে বাড়তি ৪০৮ কোটি টাকা খরচ করছে। তবে এই খরচ শুধুমাত্র জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন চাল-গম বিতরণ করেই হয়েছে। ধরা হয়নি রাজ্য খাদ্যসাথী যোজনা। তাহলে সেক্ষেত্রে খরচ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্ধ হবে Jio, Airtel-র ব্যবসা! দিনে ৬ টাকায় ১৩ মাস আনলিমিটেড কলিং, ডেটা দিচ্ছে BSNL
এই প্রসঙ্গে, অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, ‘একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দুয়ারে রেশন চালু রেখে গ্রাহক সুবিধা দেখছেন।’ এদিকে দোকানদারদের এই কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা রেশন দোকানদের সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সৌগত রায়। জানা গিয়েছে বর্তমানে রেশন দোকানদাররা চাল-গম বিতরণ করে কুইন্টাল প্রতি ৯০ টাকা করে কমিশন পান। এবার সেটি কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো এই প্রসঙ্গে কোন সদুত্তর পায়নি রাজ্য।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |