বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরেক বড় সাফল্য অর্জন করল ভারত। শুক্রবার, এক উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সফল হল দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন রেঞ্জে নয়া ক্ষেপণাস্তটির সফল পরীক্ষা করেছে DRDO। যেই খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর X হ্যান্ডেলে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল প্রিসিশন মিসাইল বা ULPGM-V3 এর সফল পরীক্ষার কথা জানান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর X পোস্ট
শুক্রবার নিজের X হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং লেখেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ( DRDO) অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে অবস্থিত ন্যাশনাল ওপেন রেঞ্জে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল প্রিসিশন মিসাইলের, পরীক্ষায় সফল হয়েছে।
বলা বাহুল্য, DRDO-র হাত ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র মূলত ড্রোনে স্থাপন করে শত্রু বা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম।
In a major boost to India’s defence capabilities, @DRDO_India has successfully carried out flight trials of UAV Launched Precision Guided Missile (ULPGM)-V3 in the National Open Area Range (NOAR), test range in Kurnool, Andhra Pradesh.
Congratulations to DRDO and the industry… pic.twitter.com/KR4gzafMoQ
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) July 25, 2025
এক নজরে ক্ষেপণাস্ত্রটির বৈশিষ্ট্য
বলে রাখি, ULPGM-V3 নামক এই বর্ধিত পল্লার ক্ষেপনাস্ত্রটি গত ফেব্রুয়ারিতে বেঙ্গালুরুর Aero India 2025 অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়েছিল। অনেকেই হয়তো জানেন না, আদানি এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডের হাত ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি হয়েছে। যদিও এটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার কাঁধে।
অবশ্যই পড়ুন: এশিয়া কাপে ফের একই গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান! কোথায়, কবে গড়াবে টুর্নামেন্ট?
এবার আসা যাক এর বৈশিষ্ট্যে। শুরুতেই বলে রাখি, ক্ষেপণাস্ত্রটি কিন্তু ULM-ER নামেও পরিচিত। যার মূলত তিনটি প্রধান রূপ রয়েছে। অর্থাৎ ULPGM-V1, ULPGM-V2 এবং ULPGM-V3 ভার্সনে পাওয়া যায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বলছে, ভারতের এই নয়া ক্ষেপণাস্ত্র রাত অথবা দিন যেকোনও সময়ে কিছুটা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে।
কেননা, এই ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে ইমাজিন ইনফ্রারেড সিকার (imaging infrared (IR) seeker) যা মূলত রাতের অপারেশনের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সক্ষম করে তোলে। এছাড়াও 12.5 কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র হোমিং সুবিধা যুক্ত। তাছাড়াও এটি ডুয়েলথ্রাস্ট প্রপালশন ইউনিট দ্বারা তৈরি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |