শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সরকারি কর্মচারীদের (Government Employee) জন্য রইল জরুরি খবর। আচমকা বদলে দেওয়া হল অফিসের সময়সীমা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপনিও যদি সরকারি কর্মী হয়ে থাকেন, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর। আসলে যত সময় এগোচ্ছে ততই রাজধানী দিল্লির হাওয়া বিষিয়ে যাচ্ছে। নভেম্বরে সেখানে দূষণের মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেন করোনা মহামারীর সময় ফিরে এসেছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে ক্লাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এবার এই দূষণের মতিগতি দেখে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। কী সেই নির্দেশিকা জেনে নিন ঝটপট।
বদলে দেওয়া হল অফিসের সময়
কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মীদের কাজের সময় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকের জারি করা আদেশ অনুসারে, কর্মীদের একা হাঁটতে এবং যানবাহনের দূষণ কমাতে গণপরিবহন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫.৩০ বা সকাল ১০টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে এই অফিসগুলি।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপগুলি মন্ত্রক, বিভাগ এবং সংস্থাগুলি তাদের কার্যকরী প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে গ্রহণ করতে পারে। দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার ওপর যাতে কোনওরকম বিরূপ প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মাস্ক পরার নির্দেশ
আদেশে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে যানবাহন পুলিং অবলম্বন এবং যথাসম্ভব গণপরিবহন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে যানবাহন থেকে দূষণ কমানো যায়। বিপজ্জনক দূষণের মাত্রার মধ্যে কর্মীদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সচিবালয় সমিতি ডিওপিটির কাছে আবেদন করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে…
১. দিল্লি-এনসিআরে অবস্থিত সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বিভিন্ন সময়ে আবেদন করা হয়েছিল। অফিসে এয়ার পিউরিফায়ার বসানোর কথা বলা হয়েছিল।
২. সব কর্মকর্তাকে এন-৯৫ মাস্ক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতার কথা বলা হয়েছে।