আর কোনও রাখঢাক না রেখে বকেয়া DA নিয়ে বিরাট ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হচ্ছিলেন। তাঁদের অন্যতম বড় দাবি ছিল বকেয়া এবং বর্ধিত হারে ডিএ প্রদান করা হয়। এবার সকলের সেই আর্জি শুনল বলে মনে হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতা দিবসের পরেই কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা ঢুকতে শুরু করবে।
মিলবে বকেয়া ডিএ
দীর্ঘদিন ধরে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েই চলেছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনওকিছু তাঁদের আন্দোলনের ভীতকে নাড়াতে পারেনি। সরকারের কাছে সকলের শুধু একটাই আর্জি, বকেয়া ও বর্ধিত ডিএ যেন তাঁদের প্রদান করা হোক। এদিকে বাংলার কর্মীদের পাশাপাশি আরও অন্যান্য রাজ্যের কর্মীরাও এই একই পথে হেঁটেছেন। যেমন তেলেঙ্গানার বহু সরকারি কর্মী একই দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তবে এবার স্বাধীনতা দিবসের পরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ঘোষণা করা হবে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
কত শতাংশ ডিএ বাড়বে
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে যদি সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ে তাহলে কতটা পরিমাণে বাড়বে? মূলত কপাল খুলতে পারে শিক্ষকদের। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ভেম নরেন্দ্র রেড্ডি শনিবার শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন, কৃষক ঋণ মকুবের কাজ শেষ হওয়ার পরে ১৫ অগাস্টের পরে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ঘোষণা করা হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ডিএ বৃদ্ধির শতাংশ শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডি এই বিষয়ে ঘোষণা করবেন। নরেন্দর রেড্ডি অধ্যাপক এম কোদানরামের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পরে শিক্ষক ইউনিয়নগুলির সাথে দেখা করেন। উত্পাধ্যায় সংঘলা পোরাতা কমিটি (ইউএসপিসি), তেলেঙ্গানা শিক্ষক জেএসি এবং অন্যান্য শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষকরা আর্জি জানিয়েছেন, পদোন্নতি এবং বদলি নিয়ে যে যে বিষয়গুলি পড়ে আছে, সেগুলির যেন দ্রুত সমাধান করা হয়।