সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার রক্তাক্ত হল কাশ্মীরের মাটি। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহীদ হলেন এক জওয়ান। এমনিতে দু’দিন আগে কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়ানক জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) ঘটনা কেউ ভুলতে পারছেন না। জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে রয়েছেন আরও অনেকে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রীতিমতো শাটডাউন পরিস্থিতি ঘাঁটিতে। জায়গায় জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এরই মাঝে আজ উধমপুরে সেনা-জঙ্গির মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয় বলে খবর।
সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহীদ জওয়ান
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উধমপুরের দুড্ডু-বসন্তগড়ে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ঘিরে ফেলেছে বলে খবর। তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে একজন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। এদিন মূলত জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এরপর জঙ্গিরা নিরাপত্তা কর্মীদের উপর গুলির বর্ষণ করে, যার জবাবে সেনারা উপযুক্ত জবাব দেয়। যদিও এই এনকাউন্টার চলাকালীন একজন জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে খবর।
শহীদ জওয়ান পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার তেহট্টের পাথরঘাটা বাসিন্দা। শহিদ ঝন্টু আলি শেখ ৬ প্যারাস্যুট রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীন ঝন্টুর শরীরে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই বাঙালি জওয়ানের মৃত্যু হয়।
এদিন হোয়াইট নাইট কর্পসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, আজ উধমপুরের বসন্তগড়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে একটি যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। এরপর দু পক্ষের মধ্যে একটি ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। আমাদের একজন সৈনিক প্রাথমিক সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এবং সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, পরে তিনি শহীদ হন। এখনও গুলির লড়াই চলছে।’
অ্যাকশন মোডে সরকার
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই কাপুরুষোচিত হামলার পর, ভারত সরকার অ্যাকশন মোডে রয়েছে। আগামী দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিসিএস বৈঠকটি আড়াই ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল। এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ বাতিল সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি! ভারতের সিদ্ধান্তে কতটা ক্ষতি হবে পাকিস্তানের?
পাঁচটি বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। আটারি সীমান্ত থেকে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের ভিসা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ত্যাগ করুন। পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ এবং ভারতে পাকিস্তানি দূতাবাসও বন্ধ। পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ৭ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |