শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সরকারি কর্মীদের জন্য রইল বড় খবর। এমনিতে যারা সরকারি কর্মচারী তাদের জন্য কিছু না কিছু নিয়ম লাগু করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। আবার এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে সরকারি কর্মীরা হয়তো জানেনই না। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যেটি লাগু করেছে ইপিএফও (Employees’ Provident Fund Organisation)। সামাজিক সুরক্ষাকে মজবুত করতে বড়সড় পরিবর্তনের মাধ্যমে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) পেনশনকে আকর্ষণীয় করে তোলার প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা হবে কীভাবে একজন EPF পেনশনভোগী ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁদের সন্তানদের পেনশন তহবিলে জমা রাখা অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে।
নিয়মে বদল EPFO -র
শ্রম মন্ত্রক ইপিএফ সদস্যদের পেনশন প্রকল্পে যোগদানে উত্সাহিত করার ক্ষেত্রে প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব সহ দীর্ঘ চাকরির সময়কালের পরেও কম পেনশনকে যৌক্তিক করার কথা ভাবছে মন্ত্রক। এমনিতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর আওতায় সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো জোরদার করার জন্য, শ্রম মন্ত্রক ইপিএস -১৯৯৫ প্রকল্পের অধীনে উচ্চতর পেনশনের জন্য সদস্যদের তাদের ইপিএস তহবিলে অবদান বাড়ানোর বিকল্প প্রদানের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করছে।
সূত্রের খবর, পেনশন সংস্কার সংক্রান্ত এই আলোচনায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত পেনশন স্কিমকে আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি সদস্যদের উদ্বেগ দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়। শীর্ষ স্তরে আলোচনার সময় স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে ইপিএফ সদস্যদের একটি বড় অংশের দ্বিধা রয়েছে যে পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ পেনশন সুবিধার পরে ফেরত দেওয়া হবে না।
মৃত্যুর পর মিলবে পারিবারিক পেনশন
মন্ত্রকের একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন, সরকার স্পষ্ট যে পেনশন তহবিল তার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত। এ অবস্থায় এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, পেনশন তহবিলে জমাকৃত অর্থ থেকে তারা পেনশন পাবেন এবং মৃত্যুর পর স্বামী/স্ত্রী পারিবারিক পেনশনের সুবিধা পাবেন। উভয়ের মৃত্যুর পর পেনশন তহবিলের অবশিষ্ট আমানত তাদের নমিনি-নির্ভরশীল সন্তানদের দেওয়া হবে।
ইপিএফের অধীনে ন্যূনতম পেনশন বর্তমানে প্রতি মাসে মাত্র ১,০০০ টাকা এবং সংস্কারের অধীনে এটি পর্যালোচনা করার সময় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই টাকার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে সরকারের তরফে।