বাজারের থেকে ৯০% কম দাম, এবার থেকে রেল স্টেশনেই মিলবে ওষুধ! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

Published on:

modi railway station

শ্বেতা মিত্রঃ রেল যাত্রীদের জন্য এবার দারুণ উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে কেউ যদি ট্রেনে ভ্রমণ করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কারোর কাছে যদি ওষুধ না থেকে থাকে তাহলে চিন্তা করার দিন শেষ। কারণ এবার খুব সহজেই আপনার কাছে পৌঁছে যাবে ওষুধ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এবার রাজ্যের রেল স্টেশন গুলিতে খুব সস্তায় পেয়ে যেতে পারেন ওষুধ। আসলে সাধারণ মানুষের কোথায় ভাবনাচিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে দেশের একাধিক রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন-ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। আর এই কেন্দ্রগুলি থেকেই সহজেই আপনিও পেয়ে যেতে পারে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ। আরো বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।

এবার স্টেশনে মিলবে জলের দরে ওষুধ

WhatsApp Community Join Now

বিভিন্ন জায়গায় জন-ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর যাত্রীরা স্টেশনে সস্তায় ওষুধ পেতে পারেন। বিশেষ করে বিহারের রেল যাত্রীরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পে যাত্রীদের জন্য সুলভ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সহজলভ্যতা সুনিশ্চিত হবে।

১. সাধারণ রেল যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা ভ্রমণের সময় বা কাছাকাছি থাকার সময় সহজেই সস্তায় ওষুধ পেতে সক্ষম হবেন। জেনেরিক ওষুধগুলি ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় ৫০% থেকে ৯০% সস্তা হবে যা অবশ্যই সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির বিষয়।

২- যাত্রার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাত্রীরা হাতের নাগালে থাকা জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ নিতে পারবেন। রেল স্টেশনগুলিতে জন-ঔষধি কেন্দ্র স্থাপনের ফলে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার মাণ উন্নত হবে।

৩- প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি যোজনার (পিএমবিজেপি) লক্ষ্য আরও বেশি লোকের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করা, যাতে কারও আর্থিক অবস্থা তার স্বাস্থ্যসেবায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সরকারের এই উদ্যোগে শুধু যাত্রীরাই উপকৃত হবেন না, সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ঘটবে।

বিহারে চলবে নতুন ট্রেন

স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে ১৭৪০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এরইসঙ্গে চিরালপোথু থেকে বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলার বাঘা বিশুনপুর পর্যন্ত সোননগর বাইপাস লাইনটি ২২০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত হবে। রেলওয়ে বলছে যে ঝাঁঝরপুর-লাউখা বাজার রেল বিভাগে দুই জোড়া এমইএমইউ ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে, যা নিকটবর্তী শহর ও শহরগুলিতে চাকরি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি অ্যাক্সেস করা সহজ করে তুলবে।

হরিনগর-ভৈরগঞ্জ রেললাইন ডবল করার ফলে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বাড়বে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিও বাড়বে। দ্বারভাঙ্গা বাইপাস রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে দ্বারভাঙ্গা জংশনে যানজট নিরসনে কাজ করবে রেলপথ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X