শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ অবশেষে এসে গেল সেই দিন যেটার জন্য অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন সকলে। ঠিক ৩৩ দিন পর কলকাতার নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (CJI Sanjiv Khanna) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে কলকাতার সরকারি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার (RG Kar Case) শুনানি হবে।
নতুন বিচারপতির এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি
নতুন বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জয় কুমার। গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শেষবার এই মামলার শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। কলকাতার বিশেষ আদালতে ইতিমধ্যেই ধর্ষণ ও খুনের অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে, যেখানে ফাস্ট ট্র্যাক এবং দৈনিক ভিত্তিতে শুনানি হচ্ছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে নতুন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। এটি শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া সপ্তম স্থিতির প্রতিবেদন হবে।
৯ আগস্ট আরজি কর-এ খুন জুনিয়র চিকিৎসক
২০২৪ সালের ৯ আগস্ট দিনটি হয়তো কেউ কোনদিন ভুলবেন না কারণ এই দিনই আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে উঠে আসে তাকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে খুন করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই নামের একটি ব্যক্তিকে। সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার “একমাত্র প্রধান অভিযুক্ত” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন এসএইচও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধেও তদন্তকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে তদন্ত করছে।
সোমবার কলকাতার বিশেষ আদালত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, তদন্তকারী আধিকারিকরা বর্তমানে আরজি করের সিসিটিভি থেকে সংগৃহীত ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।