সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan Tension) সীমান্তে যেন আগুন জ্বলছে। হ্যাঁ, পাকিস্তানের বদলা সুদে আসলে ফেরত দিচ্ছে ভারত। তবে বুধবার গভীর রাতে আবারও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলে গোটা দেশ। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান পরিকল্পনা করেছিল ভারতের 15টি শহরে মিসাইল এবং ড্রোন হামলার। আর ভারতীয় সেনাদের প্রস্তুতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ফলে তাদের সেই হামলা কার্যত ব্যর্থ হয়। আর পাল্টা আক্রমণের জেরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
কী ঘটেছিল বুধবার রাতে?
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, রাত গভীর হতেই পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চল লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন এবং মিসাইল ছোড়া হয়। আর যে সমস্ত শহর টার্গেট ছিল তা হলো – শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। তবে সূত্রের খবর, ভারত এই আগ্রাসনের আঁচ আগেভাগেই পেয়ে গিয়েছিল।
রক্ষা করলো S-400 সুদর্শন চক্র
বর্তমানে ভারতের আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সবথেকে বড় হাতিয়ার এখন S-400 সুদর্শন চক্র। হ্যাঁ, এই হাতিয়ারই সন্ত্রাসবাদীদের হামলা রুখতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। এই রাশিয়ান প্রযুক্তি নির্ভর সিস্টেম 600 কিলোমিটার দূর থেকেই শত্রুর মিসাইল এবং ড্রোন চিহ্নিত করতে পারে।
এমনকি 400 কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। সূত্রের খবর, পাক সেনার বেশিরভাগ মিসাইল এবং ড্রোন আকাশেই ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালে অমৃতসর সহ একাধিক শহরে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।
পাকিস্তানি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনাদের কৃতিত্ব
শুধু প্রতিরক্ষা নয়, বরং এবার ভারতীয় সেনারা কড়া পদক্ষেপও নিয়েছে। সেনাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান যেভাবে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা করছে, তার সঠিক পরিকল্পনামাফিক পাল্টা আঘাত হেনেছে ভারত। লাহোরে চালানো ড্রোন স্ট্রাইক পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এমনকি পাক সংবাদমাধ্যম স্বীকার করেছে যে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোর সহ অন্তত 15টি শহরে বিস্ফোরণের শব্দ কানে এসেছে। যদিও তারা স্বীকার না করলেও ভারতীয় সেনারা জানিয়েছে, এটা ছিল সন্ত্রাসের দেশকে সায়েস্তা করার জন্য ভারতের পাল্টা পদক্ষেপ। তবে সেনাদের মুখপাত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। তবে শান্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে তাদের যা করণীয়, তা করতে হবে। সীমান্তে নাগরিকদের হত্যা করে কেউ রেহাই পাবে না।
আরও পড়ুনঃ রোহিতের টেস্ট অধ্যায় শেষ হতেই বিকল্প অধিনায়ক খুঁজে নিল BCCI!
উল্লেখ্য জানিয়ে রাখি, গত এক সপ্তাহ ধরে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে পাকিস্তানের গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন 5 শিশু, 4 মহিলা সহ মোট 16 জন ভারতীয় নাগরিক। আর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতেই ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সীমান্তে হামলা করেছে, এমনকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে কুখ্যাত সব জঙ্গি সংগঠনগুলিকে।
এরমধ্যে আরেকটি বিষয় হল, পাকিস্তান যেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি ব্যবহার করে। সেটি চিনের প্রযুক্তি। আর ভারতের আচমকা হানায় পাকিস্তান থুড়ি চিনের এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যেন ‘রাতকানা’ হয়ে ওঠে। ভারতীয় ড্রোনগুলি সহজেই এ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করে পাকিস্তানে ঢুকে নিজেদের কাজ করে নেয়। আর এই কাণ্ড পাকিস্তানের বুকে যে চিন চিন করে ব্যথা শুরু করে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |