প্রীতি পোদ্দার, মিরাট: খবরের কাগজে হামেশাই দেখা যায় বিয়ের প্রমাণপত্র না দেখানোর ফলে হোটেলের ঘর থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রীতিমত হুমকিও দেওয়া হচ্ছে যুগলদের। সমাজের কাছে অবিবাহিত দম্পতিদের হেনস্থার বিষয়টি রীতিমত খিল্লির উপযোগী হয়ে উঠেছিল। আর এই আবহেই এবার অন্যতম জনপ্রিয় হোটেল OYO এক বিরাট পরিবর্তন আনতে চলেছে অবিবাহিত যুগলদের জন্য।
OYO র নয়া নির্দেশিকা
OYO র হোটেল মানেই অবিবাহিত প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে এক আকর্ষণীয় জায়গা। যেখানে চোখ বন্ধ করে নিজেদের সময় কাটানোর জন্য নির্দ্বিধায় ঘর বা রুম বুক করা যায়। তবে নতুন বছর পড়তেই সেই নিয়মে আসতে চলেছে বিরাট বদল। সম্প্রতি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা চালু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিরাট থেকে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এখন থেকে হোটেলে চেক-ইনের সময় অফলাইনে যুগলকে অবশ্যই তাঁদের সম্পর্কের ‘প্রমাণপত্র’ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সামাজিক পরিচিতি, স্থানীয়দের দিয়ে প্রভাব খাটিয়েও কোনও অবিবাহিত দম্পতি যাতে হোটেলে না থাকতে পারেন, তার জন্য নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।
কেন এই নয়া নিয়ম জারি?
এছাড়াও OYO তে হোটেল বুক করার সময় অনলাইনে যুগলের সম্পর্ক কী সেই অপশন থাকবে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে মিরাট থেকে এই নয়া নিয়ম চালু করে দিয়েছে OYO। ধীরে ধীরে কিছু দিনের মধ্যে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও নতুন নিয়ম জারি হতে চলেছে। যদিও প্রথম দিকে এই নিয়ম OYO তে ছিল না, কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে ততই রাজনৈতিক চাপ, সামাজিক চাপ এবং আইনি জটিলতার জেরে এই কাজ করতে রীতিমত বাধ্য হচ্ছে রীতেশ আগরওয়ালের সংস্থা। প্রশ্ন উঠছে এর পিছনে কি তবে গেরুয়া শিবিরের উস্কানি রয়েছে। এমনকি OYO র এই নয়া নিয়মের পিছনেও দেখা যাচ্ছে লাভ জিহাদ এর ছায়া।
এই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা PTI কে OYO সংস্থার উত্তরাঞ্চলের প্রধান পবস শর্মা জানিয়েছেন যে, ‘‘নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল আতিথেয়তার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবার থেকে ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী থেকে একক ভ্রমণকারী সকলেই যাতে হোটেলে থাকার বিষয়ে কোনো অস্থিরতার মধ্যে না থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখি। আমরা যেমন ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করি তেমনই, আমাদের নাগরিক সমাজ এবং আইনের দায়িত্ব কর্তব্যকেও মেনে চলি। তাই আমাদের এই ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়েছে।”