সহেলি মিত্র, কলকাতা: আপনিও কি এই শীতে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল এক দুর্দান্ত সুখবর। এবারই ঋষিকেশে এমন এক সেতু তৈরি (Glass Walkway In Rishikesh) হলো যা দেখে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। আজ কথা হচ্ছে ঋষিকেশের বজরং সেতু নিয়ে। বর্তমানে এই সেতু খোলার অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ। যদিও এই সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে অসম্পূর্ণ, তবে ভারতে নির্মিত এই প্রথম কাঁচের সেতুটি নিয়ে মানুষ খুবই উচ্ছ্বসিত। ঋষিকেশের বজরং সেতু নির্মাণের মাধ্যমে, একটি নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে বলে দাবি অনেকের।
কবে চালু হবে ঋষিকেশের বজরং সেতু?
এই আধুনিক ঝুলন্ত কাঁচের সেতুটি সকলের কঠোর পরিশ্রমের এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। আগে ঋষিকেশ মানেই লক্ষ্মণ ঝুলার কথা মাথায় আসত সকলের। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই লক্ষ্মণ ঝুলাতেই তৈরি হচ্ছে কাঁচের ঝুলন্ত সেতুটি। আগামী দিনে এই কাঁচের সেতুটি দর্শনার্থীদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় দর্শনার্থীরা মা গঙ্গার দর্শনও করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ৩০ বছর বয়সেই নিভল প্রদীপ! প্রয়াত ব্রহ্মোসের ইঞ্জিনিয়ার, কী হয়েছিল আকাশদীপ গুপ্তর?
লক্ষ্মণ ঝুলা দীর্ঘদিন ধরে ঋষিকেশের পর্যটন এবং আধ্যাত্মিক সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। ১৯২৯ সালে নির্মিত এই লোহার ঝুলন্ত সেতুটি তার সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল। এটি গঙ্গা নদীর ওপারে তপোবন এবং বেশ কিছু গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করেছিল। এটি ভগবান লক্ষ্মণের পৌরাণিক কাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, স্বয়ং রামের ভাই লক্ষণ এই স্থানে পাটের দড়ি ব্যবহার করে নদী পার হয়েছিলেন।
৬৮,৮৬,২০,০০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি
যাইহোক, বজরং সেতুটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু কাজটি এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এই বছরের কানওয়ার যাত্রার সময় সেতুটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, যার ফলে তীর্থযাত্রীরা উভয়ই উপকৃত হতে পারতেন, কিন্তু সেতুটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ৬৮,৮৬,২০,০০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৩২.৩০ মিটার দীর্ঘ বিকল্প বজরং সেতুর নির্মাণকাজ শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পাশে রঙ করার কাজও চলছে। সেতুটি শীঘ্রই প্রস্তুত হবে, উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রীরা।












