মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরিতে প্রথম বড় সাফল্য, হবে ঝড়ের গতিতে কাজ! বুলেট ট্রেন নিয়ে সুখবর

Published:

Good news about the Mumbai-Ahmedabad bullet train project
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় রেল পথের বুক চিড়ে ছুটে চলবে প্রথম বুলেট ট্রেন। আপাতত সেই আশাতেই, প্রহর গুনছেন দেশবাসী। এরই মাঝে, মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে গতি বাড়ল। দীর্ঘ অপেক্ষা কাটিয়ে অবশেষে, জোর কদমে চলছে টানেল নির্মাণের কাজ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্স এবং শিলফাটার মধ্যে তৈরি 21 কিলোমিটারের দীর্ঘ টানেলের 2.7 কিলোমিটারের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। 9 জুলাই প্রথমবারের মতো টানেলের ব্রেকথ্রু আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়াররা। বর্তমানে দুটি অংশে জোর কদমে চলছে টানেল নির্মাণের কাজ

দুটি অংশে চলছে টানেল নির্মাণের কাজ

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমত নতুন অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রায় 5 কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হবে। এরপর বাকি 16 মিটার অংশে টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করে খোঁড়া হবে সুড়ঙ্গ। শুধু তাই নয়, এই টানেলের অন্তত 7 কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ থানে ক্রিকের নিচে সমুদ্রের তলদেশ থেকে যাবে, যা ভারতীয় রেলের অবকাঠামোর দিক থেকে সত্যিই অনন্য।

সূত্রের খবর, প্রথমদিকে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত বুলেট ট্রেন প্রকল্পে কাজের গতি বাড়ানোর জন্য একটি অ্যাডিশনাললি ড্রাইভেন ইন্টারমিডিয়েটে টানেলও নির্মাণ করা হয়েছিল। মূলত সেই কারণেই ঘানসোলি এবং শিলফাটা দুই অংশেই একযোগে খনন কাজ সম্ভব হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে শিলফাটার দিক থেকে 1.62 কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন করা গিয়েছে। একই সাথে NATM অংশে কাজ হয়েছে 4.3 কিলোমিটার।

সমস্যা এড়াতে তৈরি রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপাতত যা খবর, মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নে টানেল নির্মাণের কাজে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেজন্য বেশ কিছু উন্নত প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এগুলির মধ্যে রয়েছে, গ্রাউন্ড সেটেলমেন্ট মার্কার, পাইজোমিটার, ইনক্লিনোমিটার, স্ট্রেন গেজ ও বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস সিস্টেম।

অবশ্যই পড়ুন: পরপর ৫ বলে ৫ উইকেট, বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস লিখলেন আয়ারল্যান্ডের পেসার

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের এমডি বিবেক কুমার গুপ্তা বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, 2.7 কিলোমিটার পর্যন্ত টানেলের কাজ শেষ হওয়ার পর, টানেলের লাইনিং, ট্রাক বেড বসানো এবং ট্রাক স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরও বলেন, বর্ষার মরসুম কেটে গেলেই এই প্রকল্পে কাজের গতি আরও বাড়বে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join