শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: যারা ধর্মীয় স্থানে ঘুরতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য রইল এক দুর্দান্ত খবর। এবার কেন্দ্র সরকারের তরফে এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যার ফলে উপকৃত হবেন সকলে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ১৮টি প্রধান ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্রে রোপওয়ে প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।
মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা কেন্দ্রের
একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার ভারত জুড়ে ১৮টি রোপওয়ে প্রকল্পের জন্য ডিপিআর অর্থাৎ বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য পরামর্শদাতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। রোপওয়েগুলি এমন লোকদের জন্য খুবই উপকারী যারা কিনা ধর্মীয় ও পর্যটন স্থানগুলিতে পৌঁছানোর জন্য কয়েক কিলোমিটার ভ্রমণ করেন।
দীর্ঘতম রোপওয়ে কোনটি?
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সবথেকে দীর্ঘতাম রোপওয়ে প্রকল্প কোনটি? তাহলে জানিয়ে রাখি, তালিকার সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি হল বালতাল থেকে অমরনাথ মন্দির পর্যন্ত প্রস্তাবিত ১১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে। বর্তমানে বালতাল বা পহেলগাঁও থেকে পায়ে হেঁটে বা হেলিকপ্টারে গুহায় পৌঁছনোর একমাত্র পথ।
তালিকার দ্বিতীয় বড় প্রকল্পটি হল দক্ষিণ ভারতের একটি বিশিষ্ট ধর্মীয় স্থান পাথানামথিট্টার শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার ২.৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে। আমের দুর্গকে জয়পুরের নাহারগড় দুর্গের সাথে ৬.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে দিয়ে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া মুসৌরি থেকে কেম্পটি জলপ্রপাত পর্যন্ত ৩.২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়েও রয়েছে এই তালিকায়। তামিলনাড়ুর পার্বতমালাই মন্দিরটি আরেকটি প্রস্তাবিত রোপওয়ে, যা ৩.২১ কিলোমিটার দীর্ঘ।
কাশ্মীরেও তৈরী হবে রোপওয়ে
যারা আগামী দিনে কাশ্মীর যাবেন বলে ভাবছেন তাঁদের জন্যেও রয়েছে সুখবর। সোনমার্গ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের থাজিওয়াস হিমবাহ পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়েও প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সম্ভবত শীর্ষ পর্যটন মরসুমে ব্যবহৃত হবে। মহারাষ্ট্রের শিবনেরি দুর্গ এবং চিকমাগালুরের মুল্লায়না গিরিও রোপওয়ের তালিকায় রয়েছে, যা ১.৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২.৩৮ কিলোমিটার। এছাড়াও বৈষ্ণদেবী ও কেদারনাথেও রোপওয়ের পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুনঃ রিজার্ভেশন ছাড়া মাত্র ৪০ টাকায় হবে যাত্রা! ১০টি স্পেশাল ট্রেন চালু রেলের, দেখুন রুট সহ টাইমটেবিল
তালিকায় রয়েছে হিমাচলও। হিমাচল প্রদেশের চামুণ্ডা দেবী মন্দির, উত্তরাখণ্ডের কুঞ্জপুরী মন্দির (ঋষিকেশ থেকে), অন্ধ্রপ্রদেশের জ্বালা নরসিংহ স্বামী মন্দির এবং শ্রী বোকোন্ডা গঙ্গাম্মা মন্দির, মধ্যপ্রদেশের সালকানপুর ওয়ালি মাতা মন্দির এবং আসামের ভুবন পাহ মহাদেব মন্দিরের জন্যও রোপওয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।