পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কাজের সূত্রে হোক বা অন্য যে কোনো কারণে প্রতিদিন গাড়ি চালাতে হয়? তাহলে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক কিছু নতুন নিয়ম জারি করতে চলেছে, যা আপনার জেনে রাখা উচিত। গতকালই জানা গিয়েছিল চারচাকার ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্স না থাকলে পেট্রোল, ডিজেল, CNG নাও দেওয়া হতে পারে। একইসাথে টোল ট্যাক্সে ফাস্ট ট্যাগও কাজ করবে না। এবার জানা যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে আধার লিংক নিয়ে নয়া নিয়ম জারি হতে চলেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নয়া নিয়ম
যেমনটা জানা যাচ্ছে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ঠিকানা, ফোন নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য আপডেট করা বাধ্যতামূলক করা হবে। এই তথ্য আধারের সাথে লিঙ্ক করা হবে। এর ফলে ফাইন হলেও সেটা না দিয়ে বেঁচে যাওয়া অপরাধীদের ধরাটা আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোটর ভেহিকল আইনে সংশোধন
সূত্রমতে, নয়া নিয়ম আনতে মোটর ভেহিকল আইনে সংশোধন আনা হবে। এক আধিকারিকের মতে, ‘একটা সিস্টেম থাকা উচিত যেটা অপরাধীদের ট্র্যাক করতে পারবে যারা নিয়ম লঙ্ঘন করে। বিশেষ করে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা বারেবারে নিয়ম ভাঙেন, এতে রাস্তায় চলা বাকি মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে। তবে ফোন নাম্বার বদল করে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করে অনেকেই ফাইন ও শাস্তির থেকে বেঁচে যাচ্ছেন। এটাই বন্ধ করতে নয়া নিয়ম আনার চিন্তা ভাবনা।
বকেয়া ১২,০০০ কোটির ট্রাফিক চালান
সম্প্রতি ইউনিয়ান সড়ক পরিবহন সেক্রেটারি ভি উমাশঙ্কর এক কনফারেন্স এই সমস্যার সম্পর্কে জানান। তাঁর মতে, প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি ই চালান এখনও বয়ে রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে সিস্টেমে ফাইন আদায় হচ্ছে সেটা সঠিক নেই। তাই ডেটাবেস পরিষ্কার করে নতুন করে পারফেক্ট সিস্টেম তৈরী করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাজেটেই আসবে সুখবর, দাম কমতে পারে LPG-র, কত করে মিলবে গ্যাস সিলিন্ডার?
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সমস্ত কাজ ‘সারথি’ পোর্টালের মাধ্যমে হয়। যেখানে ১৯৬০ সালেরও ডেটা বা ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। এক্ষেত্রে শুরুর দিকে ইস্যু হওয়া বহু লাইসেন্সের ক্ষেত্রেই মোবাইল নাম্বার নেই, অনেকেই ঠিকানা বদল করেছেন। তাই এই ধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স হোল্ডারদের আধার অনুযায়ী ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার আপডেট বাধ্যতামূলক করা উচিত।
নতুন নিয়ম জারি হলে একদিকে যেমন বাকি থাকা ই-চালান পেমেন্ট হওয়ার চান্স বেড়ে যাবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফাইন না দেওয়া হলে RC ও DL বাকি সার্ভিসের থেকে কাট অফ করে দেওয়া হবে। এর ফলে ইন্সুরেন্স বেড়ে যাবে, রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।