বর্তমান সময়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো জন্ম শংসাপত্র একটি জরুরি নথি। এই নথি ছাড়া এখনও অনেক আছে যেগুলি হয় না। বিভিন্ন সরকারি কাজে এর প্রয়োজন রয়েছে। এবার এই জন্ম শংসাপত্র নিয়েই প্রকাশ্যে এল বড় খবর। জেনে নিন সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাবা-মা উভয়কেই দিতে হবে এই তথ্য
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের খসড়া বিধি অনুসারে, এখন থেকে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের সময় শিশুর বাবা এবং মা উভয়ের ধর্মের বিষয়ে জানাতে হবে। এর আগে বাবা-মাকে শুধুমাত্র তাদের ‘পরিবারের ধর্ম’ জানাতে হত। কিন্তু এবার থেকে বাবা এবং মায়ের ধর্ম পৃথক ভাবে জানাতে হবে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটের আবেদনপত্রে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আর এই মর্মে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারগুলিকে একটি নির্দেশনামা অবধি পাঠাবে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ কোভিডের থেকেও ১০০ গুন শক্তিশালী! বিজ্ঞানীদের ঘুম ওড়াল বার্ড ফ্লুর নয়া সংক্রমণ
সম্প্রতি সংসদের বাদল অধিবেশনে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ বা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ই যথাক্রমে ১ আগস্ট এবং ৭ আগস্ট বিলটি অনুমোদন করে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কার্যকর, জন্ম শংসাপত্র শিক্ষা তালিকাভুক্তি, ড্রাইভারের লাইসেন্স প্রাপ্তি, ভোটার নিবন্ধন, আধার তালিকাভুক্তি, বিবাহ নিবন্ধন এবং সরকারী কর্মসংস্থানের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেসের প্রাথমিক দলিল হিসাবে কাজ করবে।
নতুন আইন সম্পর্কে যা জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
নতুন আইন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, “এটি নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডাটাবেস তৈরিতে সহায়তা করবে, ডিজিটাল নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকারী পরিষেবা এবং সামাজিক সুবিধাগুলির দক্ষ ও স্বচ্ছ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।” জন্ম সংশাপত্র পেতে ‘ফর্ম নং ১ – বার্থ রিপোর্ট’ পূরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের খসড়ায়। সেখানে শিশুর ধর্ম উল্লেখ করতেই হবে। শুধুমাত্র নিজের সন্তানের ক্ষেত্রেই নয়, আপনি যদি শিশু দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রেও বাবা এবং মা উভয়ের ধর্মের বিষয়ে জানাতে হবে।