বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পুলিশ স্টেশনের ভেতরেই চলল নির্মম অত্যাচার। নাবালকের চুল টেনে টেনে ছিঁড়লেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে, গুজরাটের রাজকোট পুলিশ স্টেশনে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজকোট থানায় এক নাবালককে জোর জবরদস্তি আটকে রেখে হাত দিয়ে টেনে তাঁর চুল ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশ স্টেশনেরই এক স্যানিটেশন কর্মীর বিরুদ্ধে। যেই দৃশ্য ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, মূল ঘটনার অন্তত একমাস পর এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজকোটের ডিসিপি।
এক মাস পর ভাইরাল ভিডিও
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজকোট থানার ভেতরে নাবালকের সাথে নির্মম অত্যাচারের ঘটনাটি প্রায় একমাস আগেকার। তবে সেই অমানবিকতার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পা রেখেছে সম্প্রতি। জানা যায়, গত 31 আগস্ট ছুরি দিয়ে এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নাবালকও ছিলেন। সূত্রের খবর, থানার ভেতরে পুলিশ কর্মীদের প্রশ্রয়েই ওই নাবালকের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিলেন থানারই এক সাফাই কর্মী।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত নাবালকের চুল টেনে ছেঁড়ার পাশাপাশি সামনে থেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন ওই পুলিশ স্টেশনেরই কোনও এক কর্মী। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা জাম এবং কালো প্যান্ট পরিহিত এক স্যানিটেশন কর্মী চুলের মুঠি ধরে এক নাবালককে তার পায়ের কাছে বসিয়েছেন। এরপরই ডান হাত দিয়ে ওই নাবালকের একের পর এক চুল ছিড়ে সেগুলি ডাস্টবিনে রাখছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় পা রাখতেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা।
নাবালককে অত্যাচারের ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজকোটের জোন 2 এর ডিসিপি রাকেশ দেশাই গোটা বিষয়টি জানার পর ইতিমধ্যেই নাবালকের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটির উপর যিনি অত্যাচার চালিয়েছিলেন সেই স্যানিটেশন কর্মীর নাম শৈলেশ। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ।
অবশ্যই পড়ুন: রান আউট হয়েও ক্রিজ ছাড়তে চাননি পাক ব্যাটার! মহিলা বিশ্বকাপে নাটকীয় মুহূর্ত
গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কও
ভাস্করের রিপোর্ট বলছে, রাজকোট পুলিশ স্টেশনের মধ্যে অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতিতে একজন অভিযুক্ত নাবালকের উপর এমন অমানবিক অত্যাচারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক দরশীতা শাহ। তাঁর কথায়, ‘অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন রয়েছে। তা মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত পুলিশের। এই ধরনের অমানবিক আচরণ একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তার উপর আবার পুলিশ স্টেশনের ভেতরেই এই সব ঘটেছে। যিনি এমন করেছেন তার কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’