Indiahood-nabobarsho

আদানির বন্দরে উদ্ধার ২১০০০ কোটি মাদকের সঙ্গে কাশ্মীর হামলার যোগঃ সুপ্রিম কোর্টে NIA

Published on:

Heroin worth Rs 21,000 crores behind Pahalgam attack! NIA reveals

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) ঘটনায় যোগ রয়েছে মাদক চক্রের? সুদূর গুজরাতে রয়েছে এই হামলার শিকড়? সম্প্রতি 26 জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় গুজরাতের যোগসূত্র তুলে ধরছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে বড় দাবি জানিয়েছে NIA।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সুপ্রিম কোর্টে বড় দাবি NIA-র

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে সুদূর গুজরাতের যোগ দেখিয়ে একটি বড় তথ্য পেশ করেছেন। ভাটির দাবি ছিল, কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার সাথে ওতপ্রোতভাবে যোগ রয়েছে মাদকচক্র অর্থাৎ হেরোইনের।

21 হাজার কোটির হেরোইন উদ্ধারেই বাড়ল রহস্য

শীর্ষ আদালতে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে 21 হাজার কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে কাস্টম ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ওই মাদকগুলি পাঠানো হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে। জানা যায়, কম করে 2 হাজার 989 কেজি ওজনের হেরোইন পাঠিয়েছিল আফগানরা। আইনজীবী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ওই হেরোইনের মূল্য কমপক্ষে 21 হাজার কোটি টাকা।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

শীর্ষ আদালতে বিচারপতিদের সামনে মাদকচক্র নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবী বলেন, এই হেরোইন পাঠানো হয়েছিল ট্যালকম পাওডারের আড়ালে। জানা যায়, এর আগেও একই পন্থা অবলম্বন করে ভারতে হেরোইন পাচার করেছিল আফগানরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা সেই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে দিল্লির নেব সরাই এবং আলিপুরের গোডাউনে সংরক্ষণ করে রেখেছে।

পহেলগাঁও হামলার সাথে হেরোইনের যোগ কীভাবে?

শীর্ষ আদালতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা তদন্তের পর জেনেছেন হেরোইন বিক্রি করে যে মোটা টাকা আসে তার বেশিরভাগটাই পাঠানো হয় লস্কর-ই-তইবার ফান্ডিংয়ের জন্য। আইনজীবীর বক্তব্য, এই মাদক পাচারের সাথে একেবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন কবীর তলওয়ার নামের একজন ব্যক্তি। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন ওই আইনজীবী।

অবশ্যই পড়ুন: ঘর ভাঙছে মোহনবাগানের, দল ছাড়ছেন তারকা প্লেয়ার! বিকল্প কে?

বলেন, ভারতীয় যুবকদের মাদকাসক্ত করে তাঁদের মগজ ধোলাইয়ের পর সন্ত্রাসী কাজে লাগানোর বিরাট ষড়যন্ত্র করছে লস্কর-ই-তৈবা। সব মিলিয়ে, আইনজীবীর বক্তব্যে একথা স্পষ্ট যে, মূলত আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হেরোইন বিক্রি করেই সেই অর্থ ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসবাদি হামলা ও অন্যান্য কুকর্মের জন্য।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group