কলকাতাঃ ভারতীয় রেল প্রেমীদের জন্য রইল আরও একটা দুর্দান্ত সুখবর। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় রেল ব্যবস্থায় একের পর এক পরিবর্তন ঘটছে। আর এই পরিবর্তন দেখে সকলেই রীতিমতো চমকে যাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে রেলে সকলে ভ্রমণের সংজ্ঞাটাই একপ্রকার বদলে যাচ্ছে। বন্দে ভারত থেকে শুরু করে তেজস এক্সপ্রেস এর মতন দ্রুতগামী ট্রেন এখন ভারতে চলছে। শুধু তাই নয় আগামী দিনে বুলেট ট্রেনও চলতে দেখা যাবে ভারতে। এই বুলেট ট্রেন চলতে কবে দেখা যাবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ভারতবাসী। তবে এসবের মাঝে এল আরও একটা দুর্দান্ত সুখবর। বিশেষ করে আপনিও যদি বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল একদম সোনায় সোহাগা খবর। জানা যাচ্ছে এবার এই দুই রাজ্যই পেতে চলেছে হাই স্পিড রেল করিডর হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এক ধাক্কায় এবার ৩২০ কিলোমিটার বেগে ছুটে দেখা যাবে ট্রেনকে। অর্থাৎ আগামী দিনে এই দুই রাজ্যেই বুলেট ট্রেনকে চলতেও দেখা যেতে পারে।
বাংলায় হাইস্পিড রেল করিডর
যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় রেল ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক পরিকল্পনা করতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রকে। তারই আবার ফলশ্রুতি হল বাংলা, বিহার ও বারাণসীর মধ্যে একটি হাই স্পিড রেল করিডোর তৈরি করা। বারাণসী ও হাওড়া হয়ে বিহারের পটনায় হাইস্পিড রেল করিডর তৈরি হতে চলেছে, এই করিডরে ট্রেন চলবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার বেগে। এর জন্য আলাদা এলিভেটেড রেললাইন তৈরি করা হবে, যা বিহারের রাজধানী পাটনার মধ্য দিয়ে যাবে।
বড় সিদ্ধান্ত রেলের
নতুন যে হাইস্পিড রেল করিডরটি তৈরি করার প্ল্যান করছে রেল সেটি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড তৈরি করবে । বিহারের রাজধানী পাটনা ছাড়াও জেহানাবাদ, গয়া, ভোজপুর ও বক্সার জেলায় ইতিমধ্যে জমি সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত তৈরি হওয়া এই করিডরে মোট ১৩টি স্টেশন তৈরি হলেও পাটনার এইমসের কাছে এই করিডরে একটি স্টেশনও তৈরি করা হবে।
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে চলছে বৈঠক
এই হাইস্পিড রেল করিডরের জন্য পাটনা জেলায় বড় আকারের জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২১ শে আগস্ট পাটনার চিহ্নিত গ্রামগুলির কৃষকদের সাথে জেলা প্রশাসন এবং রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসন ও রেলের আধিকারিকরা জমি অধিগ্রহণ-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। পাটনা জেলার ফুলওয়ারি শরিফ, সম্পাচক, ধনুয়া এবং মাসৌরি অঞ্চলের মোট ৩০টি গ্রামে এই করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হবে। করিডরের জন্য কোথায় এবং কতটা জমি অধিগ্রহণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ২১ আগস্ট রেল ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে কৃষকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।