প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই পড়াশোনার কারণে আপনজনদের ছেড়ে বিদেশে যায়, এমনকি অনেকেই চাকরি বা কর্মসূত্রে বিদেশে ভ্রমণে করে। তেমনই অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা বিদেশিদের সংখ্যাও অনেক। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি হল ভিসা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও অনেকে এ দেশে থেকে যান। যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এবং পাকাপাকি দেশে থাকার জন্য অনেকে আবার জল পাসপোর্ট চক্রে জড়িয়ে পড়ে।
ভারতে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে বিদেশিদের সংখ্যা
বাংলাদেশের এমন চরম এবং ভয়ংকর পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাসে এমন হাজারও অভিযোগ উঠেছে যে ভারতে প্রবেশ করার জন্য বাংলাদেশিরা রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরিয়ে বা ভুয়ো নথি ব্যবহার করে প্রবেশ করছে। যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আর পাশাপাশি বাংলায় একাধিক জাল পাসপোর্টের চক্রও ধরা পড়ছে। বাদ যাচ্ছে না জঙ্গিরাও। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশিদের বিতাড়ন করে কেন্দ্র। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট এবার প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
রিপোর্টের তালিকায় দ্বিতীয়তেই রয়েছে বাংলাদেশ
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২৩-২০২৪ রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে বিদেশী বিতাড়ন সংক্রান্ত নানা তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩১ জন বিদেশিকে। যার মধ্যে সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। ৪১১ জন বিদেশীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়াও ২০২৩-২০২৪ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। ভারত থেকে ১ হাজার ৪৭০ জনকে নাইজেরিয়ানকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে উগান্ডা। সে দেশের ৭০ জন নাগরিককে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার।
পাশাপাশি ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ভারতে আসা বিতাড়িত বিদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লক্ষ ৪০ হাজার ৩২১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ লক্ষ লোক এসেছেন বাংলাদেশ থেকেই। এছাড়াও আমেরিকা এবং ব্রিটেন থেকে যথাক্রমে ভারতে আসা লোকের সংখ্যা ১৭ এবং ৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে। যার মাধ্যমে বোঝাই যাচ্ছে এমন অনেক বিদেশী রয়েছে যারা প্রতি বছর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে ভারতেই রয়ে গিয়েছে।