বাংলায় কতগুলো রয়েছে আয়ুষ্মান ভারত তালিকাভুক্ত হাসপাতাল? হিসেব দিল কেন্দ্র

Published on:

Ayushman Bharat yojana

নয়া দিল্লিঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই নানা বিষয় নিয়ে কাজ করেই চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেল ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সড়ক, বিমান, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সব বিষয় নিয়েই কিছু না কিছু করেই চলেছে কেন্দ্র। তবে এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র এমন এক কাজ করল যাকে নিয়ে এখন সকলেই রীতিমতো ধন্য ধন্য করছেন। আগামী দিনে আর ভালো চিকিৎসার জন্য হা হুতাশ করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। কারণ এবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

বড় ঘোষণা জেপি নাড্ডার

WhatsApp Community Join Now

এমনিতে সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার নানা রকম প্রকল্প চালায়। তবে সবকিছুর মধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ এমন রয়েছেন যারা স্বল্প মূল্যে তো আবার বিনামূল্যেও চিকিৎসা পরিসেবা পেয়ে থাকেন। তবে এবার এই আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। জেপি নাড্ডা বললেন, ‘২৯ হাজার হাসপাতালকে আয়ুষ্মান ভারতের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’

৩৪.৭ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা হয়েছে

এখনও অবধি কত পরিমাণে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বড় তথ্য দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা লোকসভায় জানিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় জুন মাস পর্যন্ত ৩৪.৭ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা হয়েছে, ২৯ হাজারেরও বেশি হাসপাতালকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশের হাজার হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান করবে। জানান, ৩০ জুন পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (এবি-পিএমজেএওয়াই) আওতায় দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা বাদে ৩৩ টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩৪.৭ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বিরাট ধাক্কা, ক্ষতি ৬২৭০৭ কোটির! গরিব হচ্ছেন রতন টাটা? জানুন কি হল

উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি ৫১১.১৬ লক্ষ কার্ড রয়েছে, তারপরে মধ্যপ্রদেশে (৪০২.৪৫ লক্ষ) এবং বিহারে (২৯৫.২৬ লক্ষ)। দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে সর্বনিম্ন ০.১৪ লক্ষ কার্ড রয়েছে, তারপরে লাক্ষাদ্বীপ (০.৩৫ লক্ষ) এবং সিকিমে ০.৭৭ লক্ষ। মন্ত্রী বলেন, “৩০ জুন পর্যন্ত এবি-পিএমজেএওয়াই প্রকল্পে ৭.৩৭ কোটি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মূল্য ১ লক্ষ কোটি টাকা। এবি-পিএমজেএওয়াই-এর লক্ষ্য ১২.৩৪ কোটি পরিবারের প্রায় ৫৫ কোটি সুবিধাভোগীকে মাধ্যমিক ও তৃতীয় যত্নের হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রতি বছর পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরবরাহ করা।” জেপি নাড্ডা জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে ১০টি বেসরকারি এবং ২৭টি সরকারি হাসপাতালকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X